পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s औक va श्नूि । কুতর্কে ভুলিয়া যে প্রকৃতিতে সমস্ত আরোপ করিতেছ, যাহাকে তোমার সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব শিক্ষয়িত্রী বলিয়া মানিতেছ, তাহারই শিক্ষণ অবলম্বন কর ; সেই তোমাকে তোমারই কৃত কাৰ্য্যের দ্বারা শিক্ষা দিবে যে, কৰ্ত্ত ব্যতীত, চিত্ত ব্যতীত, কৰ্ম্ম সম্ভবে না ;— তোমারও তদুভয় ব্যতীত সম্ভব হয় নাই ; এবং ইহাও শিখাইবে যে, এ কৰ্ম্মক্ষেত্রে কৰ্ম্মই তোমার জীবনের একমাত্র পরিমাণ ও উদ্দেশু। দ্যায় বিজ্ঞানাদির কুজুঝটিকাতে অন্ধ হইয়া ভাবিও না যে, তাহার পশ্চাতে নিত্যসিদ্ধ স্বৰ্য্য এখন অস্তিত্বশূন্ত ; সেই বিজ্ঞানাদিই তোমাকে শিক্ষা দিবে যে, স্বৰ্য্যতেজে কুজাটিকার উৎপত্তি, স্থৰ্য্যতেজে তাহার স্থিতি, এবং স্থৰ্য্যতেজেই তাহার কৰ্ম্মকারিত্ব । তোমার বিজ্ঞানও, সেই বিখিনিয়ন্থ-প্রভব-শূন্ত হইলে, অকার্যকর হইয়া থাকে। মিথ্যা সামাজিকতা পরিত্যাগ কর, আত্মপ্রকৃতিতে প্রকৃতিবান হও, আত্মাবলম্বন কর । এক এক জন লইয়া পাঁচ জন ; তবে কেন তুমি সেই পঞ্চকুত মুখসে আত্মগোপন করিয়া আত্মপ্রকাশে লজ্জাবোধ করিয়া থাক । যে প্রকৃতি পাঁচজনে লইতে বলে, তাহ লইও না ; যাহা ঈশ্বর লইতে বলেন, তাহাই অবলম্বন করিও। পাঁচজন হইতে ঈশ্বর বড়। পাচ জনের মুখ্যাতি অখ্যাতি নিৰ্ম্মিত পন্থীকে পন্থা বলিয়া গ্রহণ করিও না ; তোমার স্রষ্টা নিয়োজিত কৰ্ত্তব্যবোধের উপর কৰ্ম্মমূল স্থাপিত করিয়া চলিও, এবং তাঁহাই পন্থা বলিয়া জানিও এরূপ কৰ্ম্মমূল,অতলম্পর্শ কাল সমুদ্রকে অতিক্রম করিয়া, যে ভিত্তির উপর স্বয়ং কালসমুদ্র স্থাপিত, সেই ভিত্তির উপর আশ্রম্ব করিয়া থাকে। সুতরাং এরূপ মূলোৎপন্ন কৰ্ম্ম এবং তাহার যে সার্থকতা, অহা কালের অপেক্ষ রাখে না। যে কোন কাৰ্য্য করিবে, চীৎকার করিও না ; এত চীৎকারে, এত চীৎকারের গরমে, যে কোন পদার্থ বাষ্প হইয়া উড়িয়া যায়।