বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। مياوي) মানদিগের প্রচলিত ভাষা হওয়ায়, ৭৬০ খৃষ্টাব্দে আলম কাফ নামে একজন আরব উহা আরবী ভাষায় অনুবাদ করে। আলম কাফার আরবী অনুবাদ হইতে, সিমিওন নামক এক ব্যক্তি দ্বারা খুষ্টের একাদশ শতাব্দীতে গ্রীকভাষায় অনুবাদিত হয়। ঐ গ্রীকের আবার ল্যাটিন অনুবাদ ১৫৯৭ খৃঃ শকে প্রকাশিত হয় । পুনশ্চ, অন্য দিকে আরবী অনুবাদ হইতে, রাবিব জোয়েল ঐ পুস্তকের হিব্রু অনুবাদ করে। ১৫৯৭ শকের ল্যাটিন অনুবাদ ক্রমে বিস্মৃতিগর্ভে পতিত হইয়া যায় । তদন্তর রাবিবজোয়েলের হিব্রু অনুবাদ হইতে, রাবিবজোয়েল-কৃত এক অভূতপূৰ্ব্ব পুস্তক, ইত্যাকারখ্যাতিতে, উহা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে প্রায় যাবতীয় ইউরোপীয় ভাষায় নীত হইয়া সমস্ত ইউরোপে বিস্তৃত হয়। এ যাবৎ ইউরোপভূমিতে লোকের এই দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, ঐ সকল উপন্যাস হিব্রুজাতির সম্পত্তি। এ দিকে আবার পঞ্চদশ শতাব্দীতে, আরবী অনুবাদ হইতে, হুসেন বেগ নামক জনৈক পারস্তদেশীয় লেখক, পারস্ত ভাষায় অনুবাদ ও অনুবাদে নানাবিধ নব অলঙ্কারসংযোজনে গল্প সকলের নূতনত্ব সম্পাদন পূর্বক, অন্যান্য গল্পের সহ সমাবিষ্ট করিয়া, আনোয়ার সোহেলি নামে প্রকাশ করে এবং তাহ, সপ্তদশ শতাব্দীতে সৈয়দ দায়ুদ ইস্পাহানী কর্তৃক ফরাশী ভাষায় নীত হইয়া, নূতন আকারে for(RFS ( Fables of Pilpay ) গন্নাবলী নামে প্রচারিত হয়। এইত ব্যাপার । পরে কালসহকারে মনুষ্যমনে গবেষণাবৃত্তির কাৰ্য আরম্ভ হইলে, অনুসন্ধানের দ্বারা শেষে স্থিরীকৃত হয় যে, এত গোলযোগের মূল-সংস্কৃত সেই পঞ্চতন্ত্র মাত্র। এ পর্যন্ত উহাকে অনেকেই আপন জাতীয় সম্পত্তি বলিয়া ভাবিয়াছে; এবং ক্রমাগত বহুকাল ধরিয়া হস্তান্তরিত হইতে থাকায় উহার আকার পরিবর্তনও