বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

수 গ্রীক ও হিন্দু। নিকৃষ্ট জাতীয়সংস্রব হেতু নানা অপকর্ষের চাপাচাপি, অতএব কেন গ্রীকেদের জাতীয় উৎকর্ষ হিন্দুদিগের অপেক্ষা মন্থরগতি না হইবে ? সে যাহা হউক, হিন্দুদিগের পথবাহনও অতি অল্প, পথবাহনকালীন বিভিন্ন জাতীয়সংস্রব যাহা ঘটিয়াছিল তাহাও অতি সামান্ত ; এই জন্য কি ইহাদের অপকর্ষতা প্রাপ্তি, কি পৈতৃক আচার ব্যবহার হইতে ইহাদের পরিবর্তনভাগ, উভয়ই অপেক্ষাকৃত অতি অল্প। পুরাতত্ত্ববিদগণেরও সেজন্ত বিশ্বাস এরূপ যে, আদিমস্থানস্থ আর্য্যদিগের যাহা কিছু রীতি নীতি ছিল, তাহার প্রকৃত আভাস কেবল এক প্রাচীন হিন্দুচরিতেই পাওয়া যায় । এক্ষণে দেখা যাউক যে, জাতিদ্বয় গন্তব্য স্থানে উপনিবেশিত হইলে পর, কি কি প্রকারে ব্যবহারিক কারণের কার্য্য ঘটিয়াছিল। যে যে প্রকারে ঘটিয়াছিল, তাহার মধ্যে দুইটি প্রধান । প্রথমতঃ– তং তং দেশস্থ আদিম অধিবাসিগণের সহ সংস্রব ; দ্বিতীয়তঃ– পার্শ্ববৰ্ত্তী অপরাপর দেশস্থ জাতি সকলের সহ সঙ্গ-সম্মিলন। আদিম অধিবাসিগণ, আদিতে উভয় জাতিরই নিকট শক্রভাবে দণ্ডায়মান হইয়াছিল। গ্রীসীয় আদিমগণ সংখ্যায় সামান্ত হেতু, গ্রীকেরা অতি অল্পশ্রমে ও অতি অল্পকালে, তাহাদিগকে বগুতায় আনিয়া দাসত্বপদে নিয়োজনপূর্বক, এক পক্ষে ভাবনাশূন্ততা ও অপরপক্ষে আত্মাঢ্যতা লাভ করিয়াছিল। আদিমগণও তাহদের যথাপ্রাপ্ত ভাগ্যকে সহজে মানিয়া লওয়ায়, ক্রমে দাস ও প্রভু উভয়ে উভয়তঃ ঘনিষ্ঠতাস্থত্রে আসিতে থাকে ; সুতরাং উভয়তঃ গুণাগুণ সকলের নির্বিঘ্নে বিনিময় চলিতে থাকায় এবং গ্রীকদিগের মধ্যে জাতিভেদাদি পার্থক্যবিধায়ক প্রথা কিছু পরিবদ্ধিত হইতে না পাওয়ায়, ক্রমে ক্রমে ও কালে, দাস ও প্রভু এক জাতিতে পরিণত হইয়া