বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊԵ গ্রীক ও হিন্দু। অকুলান জন্তই দেববলের কামনাভাগ এত অধিক। সে কামনা ও তদুল্লেখ কেবল বৈদিক স্বত্তেই যে পৰ্য্যবসিত হইয়াছে তাহা নহে, পৌরাণিক অসংখ্য ও অদ্ভুত দেবাসুরসংগ্রামকাহিনী সকলও এই স্থত্রে উৎপন্ন । পুনশ্চ, সেই আদিম গুপ্তশত্রুতার প্রভাব হইতে, বনভূমি, প্রান্তরভাগ ও লোকবিরল স্থানমাত্রে, চিরদিনের তরে ভূত, রাক্ষস, দৈত্যদানব, প্রভৃতি অদৃষ্টচর জীবের চিরবিহারভূমিতে পরিণত হইয়া আসিল । লোকচিত্তও ক্রমে আত্মদাৰ্চত পরিত্যাগ-করিয়া অধিকতররূপে অদৃষ্টদেবতার বশীভূত হইয়া উঠিল। অন্ত দিকে আবার, এরূপ প্রকার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হেতু প্রবল বিদ্বেষানল সৰ্ব্বদা প্ৰজলিত থাকায়, আদিমগণের সহ কোন প্রকার গুণাগুণাদি বিষয়েতে বিনিময় কার্য্যের কিছু মাত্র সম্ভাবনা রহিল না। যদিও কালে বহুকষ্টে আর্য্যেরা কিয়দংশ আদিমগণকে দমন করিয়া বশ্যতায় আনিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তথাপি তাহাদের সমস্ত বিষয়ই ঘূণার চক্ষে দেখিতেন ও , তাহাদিগকে সৰ্ব্বদা সহস্ৰহস্ত দূরে রাপিতেন, এমন কি কোন শূদ্রের সঙ্গে পথ চলিতে পর্য্যন্ত সম্মত হইতেন না ;—মনুতেও এতৎসম্বন্ধে নিষেধবিষয়ক বিধিও দেখিতে পাওয়া যায়। ইতঃপূৰ্ব্বে আৰ্য্যদিগের মধ্যে যদিও ব্যাবসায় অনুসারে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ইত্যাদি জাতীয় সংজ্ঞা সকল স্থাপিত হইয়াছিল বটে, কিন্তু জাতিসকলের মধ্যে প্রকৃত পক্ষে যে পরস্পর সংস্রবণুষ্ঠতা তাহা, আমার বোধ হয়, শূদ্রদিগকে ঘৃণাবশতঃ দূরে রাখার স্বত্র হইতেই, ক্রমে উখিত ও কালে তাহ সংস্কাররূপে পরিণত হইয়া, থাকিবে । বগুতয় আগত শূদ্রেরাই আৰ্য্যচরিতের অনুকরণ করিত ; কিন্তু আর্য্যেরা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ বশতঃ, তাহদের কিছু কখনও যে অনুকরণ করিয়াছিলেন এমন বোধ হয় না। এখন দেখ, আদিম জাতির