বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*አቆ -আমারও বুঝতে সময় লাগবে নিশ্চয়। মালতীর মত বুদ্ধি তো নেই। রিনির এই ঈর্ষার খোঁচটি রাজকুমারকে তিরস্কারের মত আঘাত कब्रिल भांलडौल कथा उन भानझे हिल ना । नूठम फ़िलांछेि কিছুদিন হইতে তার মন জুড়িয়া আছে। মালতী নামে যে একটি মেয়ে আছে জগতে, গত বর্ষার এক সন্ধ্যায় ওই মেয়েটিকে যে জগতের অন্য সব মেয়ের চেয়ে সে কাছে আসিতে দিয়াছে, এসব সে যেন ভুলিয়াই গিয়াছিল। মালতীকে সে আর পড়ায় না । এবার মালতীর পরীক্ষা, ভালভাবে পাস করার আগ্রহ তার চিরদিন খুব প্ৰবল। রাজকুমারের কাছে পড়িলে তার আর পাস করার ভরসা নাই। রাজকুমার তাই নিজেই পড়ানো বন্ধ করিয়া দিয়াছে। মালতী’ও আপত্তি করে নাই । তার আসা-যাওয়া যে একেবারে কমিয়া গিয়াছে, বাদ পড়িয়াছে অতি প্রয়োজনীয় অনাবশ্যক কথা বলা, সেজন্যও মালতীর কাছ হইতে কোন নালিশ আসে নাই। হয়তো মালতী ভাবিয়াছে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটানোর ভয়ে সে যায় না, পরীক্ষার আগে আবেগ ও উত্তেজনায় তাকে একটি দিনের জন্যও অশান্ত করিতে চায় না। ভাবিয়া মালতী হয়তো কৃতজ্ঞতাই বোধ করিতেছে। তার ব্যবহারে মালতী দুঃখ পায় নাই-এই যুক্তি কিন্তু রাজকুমারের নিজের মানসিক শান্তি বজায় রাখিতে কাজে লাগে না। শ্যামলের কথাটা তার মনে পড়িয়া যায়। শ্যামল বলিয়াছিল, মালতীকে ভালবাসিবার উপযুক্ত সে নয়। অসঙ্গত বলিয়া জানিলেও কথাটা এখন তাকে পীড়ন করিতে থাকে । রিনির কাছে যে প্ৰস্তাব করিতে সে চাহিতেছে, জানিতে পারিলে মালতী ব্যথা পাইবে । সে ব্যথার স্বাদ কত কটু, কত তীব্র তার জ্বালা, রাজকুমার অনুমান করিতে পারে। মালতী তার উদ্দেশ্য বুঝিবে না। রিনির রূপ যে সে দেখিতে চায় না, রিনিকে অনুরোধটা জানানোর আগে তার