বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চতুষ্কোণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ae फ्रेङ्क* ভাবিবার থাকিতে রিনি। কিনা ভাবিয়া বসিল মদ গিলিয়া সে তার সঙ্গে ফাজলামি করিতে আসিয়াছে ! আগ্রহের সঙ্গে সে রিনিকে সব বুঝাইয়া দিতে থাকে। বিশেষ করিয়া জোর দেয়। তার নিম্পাপ নির্বিকার মনোভাবের উপর, তার উদ্দেশ্যের আসল মানের উপর । কি আবেগের সঙ্গেই সে যে বার বার ঘোষণা করে, বাথরুমে রিনিকে দেখিতে চাওয়ার মত অভদ্র ছোটলোক সে নয়, ওরকম ইচ্ছা জাগার মত হীন নয়। তার মন । ব্যাখ্যা করিতে রাজকুমার চিরদিনই ওস্তাদ। বুঝিতে রিনির আর কিছুই বাকী থাকে না। মুখের ভাবে তার পরিবর্তন কিন্তু হয় আশ্চর্য রকম, রাজকুমারের সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। মনে হয, রাজকুমারের প্রস্তাব শুনিয়া তার যেন শুধু চমক লাগিয়াছিল, রাজকুমার মদ খাইয়া আসিয়াছে ভাবিয়া তার যেন শুধু দুঃখ হইযাছিল। এতক্ষণে তার রাগ হইয়াছে, ব্যাখ্যা শুনিবার পর । -বুঝতে পেবেছ রিনি ? --পেরেছি বৈ কি । গলার আওয়াজেই রাজকুমার সচেতন হইয়া উঠিল। তীক্ষা সুরকে চাপিয়া এভাবে দাতে কাটিয়া কাটিয়া রিনিকে সে আর একদিন কথা বলিতে শুনিয়াছিল। গানের আবেশে বিহবলা। রিনির বাড়ানো মুখের আমন্ত্রণ যেদিন সে গ্ৰহণ করে নাই । সেদিনও রিনির নাক এমনি ফুলিয়া উঠিয়াছিল। মুখ দেখিয়া মনে হইয়াছিল রাগের মাথায় হঠাৎ বুঝি কামড়াইয়া দিবে। দুরন্ত ছোট মেয়েরা যেমন দেয়। মান মুখে রাজকুমার একটু হাসিল। --জিজ্ঞেস করে লাভ নেই, তুমি রাজী নাও বুঝতে পারছি। -বুঝবে বৈ কি। তুমি তো বোকা নিও। --কিছু মনে করো না রিনি। --না । মনে আবার কি করব ।