পাতা:চন্দ্রকান্ত.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চষ্ণকীৰ্ত্ত । ৯৭ সুজন । না বুঝে কুকৰ্ম্ম অামি করেছি যেমন n প্রাণ ভরে লইলাম তোমার শরণ। এমন কুবুদ্ধি কেন ঘটিল আমার । সাধু হয়ে করিমু চোরের ব্যবহার। আপনার কথা কেন পরে আসি কৰে ; যে কৰ্ম্ম করেছি মোর প্রাণ দণ্ড হবে । তবে যদি কর রক্ষা দেখিয়া ব্যাকুল। সদর হইয়া মোরে হও অনুকুল । সাত ডিঙ্গ ধন আছে দিব যে তোমারে, প্রশ বঁাচাইয়া অামি যাইব দেশেরে । কিশোরীমোহন বলে কথায় কি হবে। মোর নামে সাত ডিঙ্গ লিখে দেও তবে । মহামহিম পাঠে লিখিয়া দিল পাতি। ধনের শোকেতে সাধু হয় দুঃখমতি । কিশোরীমোহন বলে খেদ কি কারণ "প্রাণের অধিক কিছু না হইবে ধন। অতঃপর সদাগর হইলে নির্ভয় । প্রাণে না বধিব আর কহিমু নিশ্চয় । তোমার দেশেতে লয়ে তোমারে রাখিব । তার পর নিজ দেশে অপিনি যাইব । অর্থের আমার বড় নাহি প্রয়োজন । যেমন বুদ্ধিৰ শেষে করিব তেমন। যে জন আশ্রয় লয় হয় শক্র প্রায় । আপনার প্রাণ দিয়া রক্ষা করি তায় । এত শুনি চন্দ্রকান্ত হরষিত মন । চরণে ধরিতে যায় সাধুর নন্দন । কিশোরীমোহন বলে থাক এইখানে । বয়সেতে জ্যেষ্ঠ তুমি বুঝলাক মনে । অভব্য তোমারে দেখি সাধুর তনয় । বিঙ্গদে পড়িলে বুঝি বুদ্ধি লৈাপ হয়। রজনী প্রভাত হৈল এমন সময় । কিশোরীমোহন তবে সদাগরে কয় । সাধুর নন্দন তুমি থাকহ বলিয়। রাজার নিকটে মাসি বিদায় হইয়া । নিজের চাকর যত পদাতিক ছিল । সাধুঞ্জ নিকটে লৰ রাখিয়া অtইল। মানভাবে উপনীত ভূপতির পাশে । ভাষা গীত সুললিত গৌরীকান্ত ভাষে । রাজার নিকট কিশোরীমোহনের বিদায় । খুয়া ! হে ভূপতি করি লিবেদন শুন ছে ভূপ করি নিবেদন । বিদায় করই মোরে যাব নিকেতন । প্রজ্ঞাতে উঠি তবে বসিল রাজন। হেনকালে উপনীত