বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চন্দ্রকান্ত.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o * চঞ্জকান্ত । রমণী আল্লিছে । রাজার কুমার, সওগাদ তোমার, নিকটেতে পাঠায়েছে। সাধুর নন্দন, দেখিয়া তখন,হরষিত হৈল অতি । চিত্ররেখা যেন,তাহার সমান, দেখি যে এই যুবতী । করেত্বে ধরিয়া, রমণী লইয়’, বসাইল সাধু কোলে ! লাজ বড় হয়, শুন মহাশয়,তিলোত্তম তারে বলে। কুকৰ্ম্ম এমন, না করি কখন, হই রাজার কুমারী। প্রদীপ এখন, করহে নিৰ্ব্বাণ, শরমেতে আমি মরি । অভিপ্রায় তার, বুঝে সদাগর, তিমির করিল ঘর। তবে দুই জন, করিল শয়ন, সরোজিনী মধুকর। চিরদিনান্তরে, পাইয়। পতিরে, দহিছে তনু অনঙ্গে মত্ত রতি রসে, মনের মানসে, বিহুরে সাধুর সঙ্গে । ঋতু রক্ষা করি, তিলোত্তম নারী, ভাবিতেছে মনে মনে । যদি গৰ্ত্ত হয়, ফি কবে অামার, তখন যদি না মানে হাসিয়েই কত কথা কুয়ে, সদাগরে ভুলাইল। করিয়া চtতুরী, একটা অঙ্গুর, খসাইরা তার নিল যামিনী পোহায়, বিলম্ব নাসয়, আসি সাধুর তনয় । ষে কাল থাকিবে, দেখিতে পাইবে, এখন হই বিদায় । স্বকাৰ্য্য সাধন, করিয়া তখন, তিলোত্তম। তবে যায়। নারীর ভূষণ,তেয়াগিয়া পুনঃ, কিশোরীমোহন হয় । উঠিয়া প্রভাতে, জাইল সাধুক্ষতে, কিশোরীমোহন বলে। কহ বিবরণ, সাধুর মন্দন, কেমনেতে কালি ছিলে । চন্দ্রকাস্ত কয়, শুন মহাশয়, তুমি থাকিলে সদয় । কথন সে জলে, ফুঃখ নাহি জানে, সদত সুখেতে রয় । হাস্ত কৌতুকেতে, রমণী সহিতে, রজনী বঞ্চন করি। মনের যে দুঃখ, নিবৃত্তি অনেক, করিলেক এই নারী । যে গুণ তোমার, রাজার কুমার, সাক্ষাতে কহিৰ কত । মোরে বিনিমূলে, কিনিয়া রাখিলে, এই জনমের মত । কিশোরীমোহন, কহিছে তখন, চল সাধুর তনয় । বিলম্বে এখন, নাহি প্রয়োজন, কর্ণধার নাহি রয় । কহে rাদাগর,অামিতো তোমার,স্থলুরে হাজির রই । যা বল যখন, করিব তখন, আজার বাfঙ্গর নই ৷ দুইজনে তবে, জগন্নাথ