বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চন্দ্রকান্ত.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রকান্ত । অয়ন্ত শক্তি অস্ত্রেতে ভূষিতা । ঐরাবতে ইন্দ্র শক্তি হুংসেতে ব্রাহ্মণী । মহেশ্বরী বৃষাৰূঢ়া ত্রিশূলধারিণী । গৰুড়ে বৈধ্ৰুবী দেবী শঙ্খ চক্র ধরা । শবাসনে আবির্ভাব হৈল। উগ্র তারা পরস্পর সৈন্য মধ্যে হৈল মহামার। যুথে যুথে হস্তী পড়ে পৰ্ব্বত আকার । টলমল করে মহী নাহি সহে ভার । চক্ষের নিমিষে সৈন্য সকলি সংহার । টুটিল সকল বল দেখি শতস্কন্ধ । অসীতা সম্মুখে যায় কোপে কহে মন্দ। হাসিয়া অসীতা দেবী তীক্ষু খঙ্গ ধরে । ছুইশত হস্ত কাটি মেন এক বারে । যুগন্তের কালে যেন রণেতে প্রচণ্ড । শতমুণ্ড কাটিয়া করেন খণ্ড খণ্ড । মজায়ে মানস শ্যামাচরণে নিতান্ত । রচিল অদ্ভুক্ত গীত বৈদ্য গৌরীকান্ত । ধুয়া । অারে মন ভজ শ্যামাপদ করিয়া যতন । ভবঘোর মায়া ফাসে, মুক্ত হবে অনায়াসে, চলিযাবে জিনিয়া শমন {} রণে পড়ে শতস্কন্ধ, আনন্দে যোগিনীবৃন্দ, মত্ত হয়ে রক্ত করে পান । হান হান ঘোর রব, করিছে ডাকিনী সব, মহাভয়ঙ্কর রণ স্থান । পরিপুর্ণ তব গুণে, অসীত নাচিছে রণে, হুতাশন ক্ষরে ত্রিনয়নে । অকালে প্রলয় হয়, , ধরা রসাতল যায়, চমৎকার লাগে ত্রিভুবনে। মহাঘোর মেঘ আভা, লহ লহ লোল জিহ্বা, সব শিশু শোভে শ্রুতি মূলে । অসম্ভব রণ লীলে, গলে মুণ্ডমালা দোলে, এলোকেশা অাধ শশী ভালে । হতশেষ সৈন্য ধায়, সম্মুখেতে যারে পায়, গ্রাসে ধরি বদন করালে । নাহি হয় সাম্য বেশ,শেষ প্রাণে অবশেষে, সশঙ্কিত অমর সকলে । নিজ স্বষ্টি হয় নাশ, বিরিঞ্চি পাইয়া ত্রাস, স্তুতি করে কৃতাঞ্জলিপুটে । ব্রহ্মময়ি প্রণমামি, স্বামীর স্বামিনী তুমি, অন্তর্যামী স্থিতি সৰ্ব্ব ঘটে। চারু চরাচরকত্রী, তুমি দেবী বিশ্বধাত্রী, অপ্রমেয়া অনন্ত মহিমা । কে জানে তোমার তত্ত্ব, ভূমি রজ তম সত্ব, গতি মুক্তিদায়িনী অন্তিম । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড সব, লোম