পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& +{১২ক] সাহজাদপুর ৮ শ্রাবণ [ ১৮৯৩ ] ভাই প্রমথ আমি বন্ধুবান্ধবদের থেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্চি। কেন বলতে পারিনে । নিশ্চয় আমারই দোষ । স্বভাবটা বোধ হয় ক্রমশই কুণো এবং আত্মম্ভব হয়ে আসচে– ক্রমেই বিশ্বাস হচ্চে অন্যের সহৃদয়ত এবং সহানুভূতির উপর নির্ভব করে সর্বদা দোতুল্যমান হওয়ার চেয়ে নিজের মধ্যে নিমগ্ন হয়ে নিভৃত হয়ে থাকায় স্থখ না হোক স্বস্তি আছে । তবু হাজার হোক, মানুষ ত আর কাজ করবার যন্ত্র নয়, মানুষের হৃদয়টাই তার কাছে সব চেয়ে প্রার্থনীয়, সেই অন্ত হৃদয়েব সংসর্গ উত্তাপের অভাবে আমি যে কাজে নিযুক্ত আছি তার ও উৎসাহ অনেক কমে এসেছে। পৃথিবীৰ ছেড়া ক্যাথা তালি দেবার ভাব নিজের স্কন্ধে নিয়ে বেশি দিন চালানো ভারি কঠিন, বিশেষতঃ যদি এক এক বসে ঐ কাজটা করতে হয়— আবার এই বেগারের কাজে অদৃষ্টে পুরস্কারের চেয়ে তিবস্কারটাই বেশি মেলে। সত্য কথা স্বীকাব করাই ভাল, আমার গণ্ডারের চামড়া নয়— নিন্দ এবং নিরুৎসাহ অামার বোধ হয় গড়পরতা লোকের চেয়ে বেশি বাজে— হাস্যমুখ, মিষ্টবাক্য এবং কিঞ্চিৎ বাহবামিশ্রিত অtশ্বাস বচন আমার মনের পক্ষে অত্যাবশ্যক বলদায়ক খাদ্যের কাজ করে । বোধ হয় সেইজন্তেই আজকাল ভিক্ষার আশা ত্যাগ করে কুত্তার হস্ত থেকে পরিএাণের ইচ্ছেয় কিছু আগ্রহান্বিত হয়ে পড়েছি । গায়ে পড়ে পৃথিবীর উন্নতি সাধন কার্য্যে শৰ্ম্ম। বোধহয় শীঘ্রই অবসর নেবেন । পাব্লিক নামক অকৃতজ্ঞ জীবের চরণতলে যে তৈল যোগান যেত সেইটে নিজের নাসারস্ত্রে প্রয়োগ করে কিছুকাল নিদ্রা দেবার জন্তে অত্যন্ত ইচ্ছা করচে । তার পর জেগে উঠে আবার বোধ হয় সেই পাদপদ্মের জন্তে লালায়িত