পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ë [R«] কল্যাণীয়েযু “যৌবনে দাও বাজটীক।” লেখাটি আমার খুব ভাল লাগল। খুব উজ্জ্বল এবং শাণিত। অবনেব ভ্রমণকাহিনীটাও খুব সুন্দর হয়েছে। অামাব তো বোধ হচ্চে তোমার কাগজ এইরকমভাবে যদি বছরখানেক চলে তাহলে বাংলাসাহিত্যকে নতুন শক্তি, গতি, এবং রস দিতে পারবে । সবুজপত্ৰেৰ উচিত হবে খুব একচোট গাল খাওয়া । সেইটেই একটা লক্ষণ যে ওর কথাগুলো মৰ্ম্মস্থানে গিয়ে লাগচে । মিথ্যার গায়ে হাত বুলিয়ে তাকে বাপুবাছা সম্বোধন কৰে আৰ চলবে না। আমাদের বর্তমান সাহিত্য মানুষকে গাল দেয কাবণ তাতে পৌৰুষ নেই– বরঞ্চ সেটা কাপুরুষেরই কাজ— কিন্তু যেখানে যথার্থ বীৰ্য্যের দবকার— যেখানে সয়তানের সঙ্গে লড়াই, যে সয়তানের হাজার কণ্ঠ এবং হাজাব বাহু, সেখানে দেখতে পাই বড় বড় সব সাহিত্যিক গুণ্ডারা কেবল পোষা কুকুরের মত ল্যাজ নাড়চে আর সেই বৃদ্ধ পাপের পঙ্কিল পা আদর করে চেটে দিচ্চে । তোমাদের এইসব লেখা পড়ে অামার উৎসাহ হয় কিন্তু দেখ সাহিত্যের এলাকায় আমার কাজের দিন ফুরিয়ে গেছে— সত্য মিথ্যা বিস্তর কথা জমিয়ে তুলেছি— সেগুলো এখন কালের ছাকুনির ভিতর দিয়ে ছাকা হতে থাক, আর নতুন জঞ্জাল বাড়াতে ইচ্ছা হয় না— এখন নিজের জীবনটাকে কি করে সম্পূর্ণ সত্য করতে পারব এই বেদনায় আমাকে দিনরাত্রি জাগিয়ে রেখেছে। এব কাছে রামগড