পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৫ September মাসে ) । সেখানে সমস্ত কাজ ত বন্ধ হইবে। আমি সমস্ত মন দিয়া সমস্ত গোলমাল হইতে দূরে থাকিয়া যদি কাৰ্য্য করিতে পারি, তবে আর দুই বৎসরে যদি কোন প্রকারে কার্য্য সমাধা করিতে পারি। আমাকে যে আর ছুটী দিবে এরূপ বিশ্বাস হয় না।’ উত্তরে ৪ জুন ১৯৭১ তারিখে রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন— ‘তোমাকে বারম্বার মিনতি করিতেছি— অসময়ে ভারতবর্ষে আসিবার চেষ্টা করিও না। তুমি তোমার তপস্তা শেষ কর— দৈত্যের সহিত লড়াই করিয়া অশোকবন হইতে সীতা-উদ্ধার তুমিই করিবে, আমি যদি কিঞ্চিৎ টাকা আহরণ করিয়া সেতু বাধিয়া দিতে পারি তবে আমিও ফাকি দিয়া স্বদেশের কৃতজ্ঞতা অর্জন করিব।” ২২ মে ১৯০১ তারিখে জগদীশচন্দ্র লিখিতেছেন— “যদি আমার এদেশে অধিক দিন থাকা আবশ্যক মনে কর তবে তোমাকে আসিতে হইবে।” ইহার পূর্বদিনই ( ২১ মে ১৯০১) রবীন্দ্রনাথও লিখিয়াছিলেন— 'আমার ভারি ইচ্ছা করচে আমরা জন দুই তিনে মিলে তোমার ওখানে মাছের ঝোল খেয়ে আগুনের কাছে ঘরের কোণে ঘণ্টা দুই তিনের জন্যে জমিয়ে বসি । জগদীশচন্দ্রের ২২ মে ১৯১১ তারিখের পত্র পাইবার পর রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন (৩ জুলাই ১৯০১ )— ‘তুমি যদি দীর্ঘকাল যুরোপে থাক তবে যেমন করিয়া হৌক একবার সেখানে গিয়া তোমার সঙ্গে দেখা করিয়া আসিব ।’ ১৭ সংখ্যক পত্রে [ সেপ্টেম্বর ১৯০১ ] রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন— ‘বিলাতে যাইবার লোভ এখন আমার মনে নাই— কিন্তু একবার Sb.br