পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ২s যখন শুনলুম তখন অনেকদিন ধরে বার বার করে বলেচি, আর তো আমার কোনো কৰ্ত্তব্য নেই, কেবল কামনা করতে পারি এর পরে ষে বিরাটের মধ্যে তার গতি সেখানে তার কল্যাণ হোক । সেখানে আমাদের সেবা পৌছয় না, কিন্তু ভালোবাসা হয়তো বা পৌছয়— নইলে ভালোবাসা এখনো টিকে থাকে কেন ? শমী যে রাত্রে গেল তার পরের রাত্রে রেলে আসতে আসতে দেখলুম জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্চে, কোথাও কিছু কম পড়েচে তার লক্ষণ নেই। মন বললে কম পড়েনি— সমস্তর মধ্যে সবই রয়ে গেছে, আমি ও তারি মধ্যে । সমস্তর জন্যে আমার কাজও বাকি রইল । যতদিন আছি সেই কাজের ধারা চলতে থাকবে। .২৮ আগস্ট ১৯৩২ ৷” ২২-সংখ্যক পত্রে মধ্যমা কন্যা রেণুকার, এবং ২৯-সংখ্যক পত্রে জ্যেষ্ঠা কন্যা বেলা বা মাধুরীলতার পীড়ার উল্লেখ আছে। পত্র লিখিবার স্বল্পকাল-মধ্যেই ইহাদের মৃত্যু হয় । এই শোক রবীন্দ্রনাথ কিভাবে গ্রহণ করেন সে বিষয়ে ঐ প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশ লিখিয়াছেন— ‘১৯১৮ সালের গ্রীষ্মকাল । বড়ো মেয়ে বেলা রোগশয্যায়। জোড়াগির্জার কাছে স্বামী শরৎচন্দ্রের বাড়িতে । কবি জোড়াসাকোয় । মেয়েকে দেখবার জন্য রোজ সকালে তাকে গাড়ি করে নিয়ে যাই । কবি দোতলায় চলে যান । আমি নিচে অপেক্ষা করি । রোগিণীর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়ে আসছিল । রোজ যেমন যাই একদিন সকালে কবিকে নিয়ে ওখানে পৌছলুম। সেদিন আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি। ১ রবীন্দ্রনাথ, চিঠিপত্র ৪, পূ ১৫২ ২ রেণুকা, মৃত্যু ১৯•৩। বেলা, স্বত্যু ১৬ মে ১৯১৮ २ २ २