বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
চীন ভ্রমণ।

সেখানে একটা মান-মন্দির আছে। সূর্য্য, চন্দ্র ও নক্ষত্রের গতি-বিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এই স্থান অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান আর নাই। তাহার কারণ উচ্চ পাহাড়টির চারি দিক সমুদ্র-পরিবেষ্টিত বলিয়া নভোমণ্ডল সুন্দররূপে পরীক্ষণ করা চলে। চারি দিকেই উন্মুক্ত স্থান বলিয়া দৃষ্টির গতিরোধ হয় না। হংকং এর মত বড় বন্দরে নক্ষত্রাদির ও ঝড়-তুফানের গতি-বিধি নির্দেশ করিবার আড্ডা একান্ত আবশ্যক। -অর্ণবপোতের গমনাগমন দিঙনির্ণয় ও স্থান ও সময় নির্দেশে তাহা একান্ত প্রয়োজনীয় ইহার জন্য সেখানে দূরবীক্ষণাদি যন্ত্র ও লোক জন থাকে। কলিকাতায় যেমন দিন ১টার সময় তোপ পড়ে-এ সকল স্থানে তেমনি ১২ টার সময় তোপ হয়। পাহাড়ে উঠার শ্রান্তিতে আমার বড় পিপাসা পাইল। একটী ছোট চীনে মেয়ে আমাকে সোডাওয়াটার এনে দিল এবং সঙ্কেতে আঙ্গুল দেখাইয়া বুঝাইয়া দিল যে, ২০ সেণ্ট তাহার মূলা।

 সে স্থান হইতে নীচের দিকে চাহিলে এক অদ্ভুত দৃশ্য চোখের সামনে খুলিয়া যায়। অদূরে চীন-সম্রাটের শাসনাধীন পর্ব্বতময় দেশ। মাঝে সমুদ্র বাবধান। তার পরই হংকং সহর কেবল ঘর বাড়িতেই পরিপূর্ণ ঢালু জমিতে বাড়িগুলি সব স্তরে স্তরে সাজান। আর সেই পাহাড়টির অর্দ্ধপথে বটানিকাল গার্ডেন অবস্থিত -কত গাছ-পালায় সবুজ হইয়া রহিয়াছে। ঠিক তাহারই উপর একটি অনুচ্চ পর্ব্বত-চুড়ায় একটি ছোট স্রোতস্বিনীর জল দ্বিপ্রহরের সূর্য্যকরে উজ্জ্বল দেখাইতেছিল। এই জলের স্রোতই প্রকাগু চৌবাচ্চায় আটক করিয়া হংকং সহরে পানীয় জল জোগান হয়। পীনোন্নত পর্ব্বত-শিখরের উপর জলধারাটি অতি সুন্দর দেখায়। ঠিক যেন সঞ্জীবনী সুধার উৎসের মত, ঠিক যেন মাতৃবক্ষে সুধাধারার মত। তার নীচেই বটানিকাল গার্ডেনের সবুজ গাছ পালাগুলি দেখিলে মনে হয় যেন, হংকং সহর