বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পিনাঙ
8১

জাতিরাও প্রখর সুনিয়মে নিয়ন্ত্রিত হইয়া নিরুপদ্রবে সমাজের হিতকর কার্য্যে রত হইয়াছে।

 সকল স্থানেই তীরে নামিয়া প্রথম যাইতাম ডাকঘরে। সেখানে চিঠিপত্র লিখিয়া সহর-ভ্রমণে বাহির হইতাম। ডাকঘরের সকল কর্ম্মচারী চীনেম্যান হইলেও তাঁহারা কিন্তু ইংরাজী বুঝেন। তাঁহাদের নিকট হইতে তথায় দেখিবার উপযুক্ত কি কি দ্রব্য বা স্থান আছে, তাহা জানিয়া লইতাম। তাঁহোৱাও সসম্মানে ও সযত্নে চীনে রিক্সওয়ালাকে বুঝাইয়া দিতেন, আমাকে কোথায় কোথায় লইয়া যাইতে হইবে।

 পিনাঙে প্রধান দুইটী দেখিবার জিনিষ আছে,—চীন দেশের ধর্ম্মমন্দির এবং জলপ্রপাত।

 পূর্ব্বেই বলিয়াছি, পিনাঙ একটা পর্ব্বতময় স্থান; শুধু পিনাঙ নহে,পরে আমরা যেখানে যেখানে গেলাম, তাহার সকল স্থানই পর্ব্বতময়; পাতরের স্থান। রেঙ্গুনের মত উর্ব্বর সমতল ক্ষেত্র আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। চীনে সমুদ্রতীরও পর্ব্বতময়। জাপানও আগ্নেয়-গিরিসমাকুল পর্ব্বতময় দ্বীপ। তবে পিনাঙে ঠিক সমুদ্রতীরেই খানিকটা সমতলভূমি আছে,সহরটি তথায় অবস্থিত। উহার পিছনে ও চারিপাশে উচু উচু পাহাড়। অনেকগুলি ছোট নদী এই পাহাড় হহঁতে বাহির হইয়া, সহরের মধ্য দিয়া কুল্ কুল্ রবে সমুদ্রে গিয়া পড়িয়াছে। তাই পিনাঙে,—রেঙ্গুন, সিঙ্গাপুর, হংকং প্রভৃতির মত পানীয় জলের অভাব নাই।

 প্রথমেই চীনদের মঠ দেখিতে গোলাম। উহা সহরের বাইরে প্রায় ৫০০ ফিট উচ্চ একটি পাহাড়ে অবস্থিত। ঠিক সেই পাহাড়ের গা বাহিয়া একটি ছোট স্রোতস্বতী যেন মৃদুস্বরে স্তুতি গান করিতে করিতে মন্দির প্রদক্ষিণ করিয়া চলিয়াছে। পাতরে বাঁধান সিঁড়ি, প্রাচীর,হইয়াছে