বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
চীন ভ্রমণ।

তাহারা অপরিচিত লোকের কাছে হাসা ভদ্রোচিত নয় মনে করিয়া হসিত না।

 উসিনের পিতা ভাত মাছ ও তারকারী বেচিত। আর উসিনের মা আহারের সময় উসিনকে দিয়ে খাবার চাহিয়া পাঠাইত। সে স্ত্রীর থাবার দিবার সময়, যত ভাল ভাল মাছ ও মাংস খণ্ড-সব গুলি বাছিয়া বাহির করিয়া দিত। দেখিতাম, অন্যকে খাবার দিবার সময় তাহার এমন হাত উঠিত না।

 একটি বৃদ্ধ চীনেম্যান একটি অল্পবয়স্কা মগ রমণীকে বিবাহ করিয়া নিজ দেশে লইয়া যাইতেছে। সে বোধ হয়, রেঙ্গুনেই কোন কাজ-কম্ম করিত, এখন বাড়ী ফিরিতেছে। তাহার অনেক গুলি ছোট ছোট ছেলে আছে, তাহার মধ্যে একটি দুগ্ধপোষ্য। ঐ চীনেম্যানের বৃদ্ধা মাতাও সঙ্গে ছিলেন। তিনি পুত্রবধূকে মেয়ের মত যত্ন করেন, দেখিলাম। ছোট ছোট নাতি গুলি তাঁর কোলে পিঠে চড়িয়া আবদার করে। তাঁর তাতে আনন্দের আর সীমা থাকে না। আমাদের বাড়ীর অধিষ্ঠাত্রী দেবীর কাছে এই দৃশ্য আমি রোজই দেখি। তাই তাহাদিগকে দেখিতে আমার বড় ভাল লাগিত। দেশে পৌঁছিলে জাহাজ হইতে নামিয়া তাহাদের সকলের মুখে হাসি আর ধরে না। অপরিচিতিকে পরম আত্মীয় করিয়া সে বম্মারমণী যে আপনার দেশ আত্মীয়-স্বজন ছাড়িয়া এই আড়াই হাজার মাইল আসিয়াছেন,তাহতেও তাঁহার মন বিচলিত দেখিলাম না। সেই চীনেম্যান তাঁহাকে অতি যত্ন করিয়া নামাইল,সেই দুধের ছেলেটিকে নিজে কোলে লইল, স্ত্রীকে একটি সামান্য দ্রব্যের ভারও বইতে দিল না।

 আমাদের চীন কমোডোরর শ্যালিকাও সেই জাহাজে ছিলেন। তাহার রং ঠিক বরফের মত শুভ্র। তাহার পা'দু'খানি সঙ্কুচিত, সুতরাং জাহাজ দুলিবার সময় দ্বিতীয় শ্রেণীর হইতে ক্যাবিনে