বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



হং কং

প্রথম প্রস্তাব

 সাত দিনের দিন প্রাতে হংকং বন্দরে প্রবেশ করিলাম। বাহির দিক্ থেকে দেখিতে এমন সুন্দর দেশ আমি কখন কোথায়ও দেখি নাই। সমুদ্র ভেদ ক’রে পাহাড় উঠেছে; সহরটি সেই পাহাড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। পাহাড়টি ১৭০০ ফিটেরও বেশী উচু। সমুদ্রজলের ধার হহঁতে স্তরে স্তরে অতিসুদৃশ্য বাড়ী গুলি যেন উপরে উপরে সাজান র’য়েছে। সে দৃশ্য বর্ণনায় বুঝান যায় না,—চ'খে না দেখলে অনুমান করা অসম্ভব।

 ঠিক সমুদ্রের উপকূলেই প্রস্তর নির্ম্মিত চওড়া রাস্তা। তার উপরেই সারি সারি,—ঠিক একরকম দেখতে, চারিতলা বাড়ী। দূর হ’তে দেখতে ঠিক যেন ছোট পায়রার থোপের মত। মনে হয়, যেন সমুদ্রজলের উপর হইতেই গাথিয়া তোলা। তার গায়ে নীল বর্ণের চীনে হরফে নানা কথা লেখা আছে। এ সকল স্থান পাহাড়েরই রাজত্ব, পাতারের দেশ; পথ, ঘাট, ঘর বাড়ী সবই পাতারে বাঁধান। বন্দরে গভীর জল। অথচ উপকূলে সিঙ্গাপুরের মত একটিও জেটি নাই। এত ঘন বসতির দেশে জাহাজ কিনারায় লাগিলে সমুদ্র-তীরে দোকান গুলিতে তিষ্ঠান দায়; আর অত গভীর জলে জেটীই বা তৈয়ার হবে কেমন ক’রে? সেই জন্য এখানে জাহাজ দূরে নঙর করে এবং বড় বড় চীনে বজরা ও জাঙ্কের সাহায্যে মোট-ঘাট নাবান উঠান হয়। শ্রমদক্ষ চীনে কুলির সাহায্যে তাহা গুরুতর কাজ ব’লেই মনে হয় না। অনায়াসে ও অতি অল্প সময়ে রাশি রাশি মাল বোঝাই হ'য়ে যায়।

 যাত্রীদের নামিতে উঠিতেও নৌকার আবশ্যক। কিন্তু এ সকল