বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্লামি আমার জীবনের কএকটি বৎসর বৈষ্ণব-সাহিত্যের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ বহুবিধ গ্ৰন্থ অধ্যয়নে বড় বোসী নিবিষ্ট ছিলাম। সে আজি বিশ বৎসরের কথা । তখন আমার মনে প্রায় সকল সময়েই এই প্রশ্ন উদিত হইত, মানুষ মরিয়া কোথায় যায় ? দেহত্যাগের পর তাহার আর কিছু থাকে কি ? এ বিষয়ে আমারই লিখিত ‘নিভূতচিন্তা’ নামক পুস্তকে ঐহিক অমরত’ শীর্ষক প্ৰবন্ধে প্রশ্নটি মাত্র উত্থাপন করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহার কোন উত্তর দিতে সাহস পাই নাই। সেই প্ৰবন্ধে এইরূপ লিখিয়াছিলাম,-“পৃথিবীর এক দৃশ্য সূতিকাগৃহ, আর এক দৃশ্য । শ্মশান।” কিন্তু শ্মশান কিংবা সমাধিমন্দিরের পর-পারে মানব- | জীবনের আর কোনরূপ অবস্থান্তর ঘটে কি না, তখন সে কথা প্ৰগাঢ়চিত্তে চিন্তা করিবারও সুযোগ পাই নাই। কারণ, আমার হৃদয় ও মন তখন অগাষ্ট কোম্টের প্রত্যক্ষবাদের বিবিধ কথায় আতট-পূর্ণ। কোমটের মতে ঐহিক অমরতাই অমরত ; তাহা ছাড়া, মনুন্যের আর কোনরূপ অমরত অথবা অবিনশ্বর জীবন-প্ৰাপ্তি শুধুই কল্পনার কথা ।