পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ & ~ ছোটদের রামায়ণ পাছে আবার সে পলাইয়া যায়, সেই ভয়ে তাহার। মোট মোট কাছি আনিয়া হনুমানের সর্বাঙ্গে আরও বাধন দিতে লাগিল। কিন্তু ব্ৰহ্মাস্ত্রের নিয়ম এই যে, অন্য কোন বাধন দিলে, সেই অস্ত্রের বাধন আপনিই খুলিয়া যায় । হনুমানের কপাল-গুণে তাহাই হইল । তথাপি মজা দেখিবার জন্য সে চুপ, চাপ পড়িয়া রহিল আর মনে মনে হাসিতে লাগিল । এইরূপে বাধিয়া রক্ষিসেরা তাহাকে টানিয়া রাজসভায় লইয়। গেল। হনুমানের মুখে কথাটি নাই । সে কেবল মিট, মিট, করিয়া দেখিতে লাগিল—রাবণ রাজাট কেমন। কিন্তু রাবণ তাহার উপরে হাড়ে হাড়ে চটিয়াছিল, তাই নিজে কোন কথাই বলিল না। তাহার ইঙ্গিতে মন্ত্রী প্ৰহস্ত হনুমানের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল এবং কেনই বা সে অশোক-বন নষ্ট করিয়াছে তাহ জানিতে চাহিল । * হনুমান রাবণের দিকে চাহিয়া বলিল, “তোমার সহিত দেখা করিবার প্রয়োজন ছিল, তাই তোমার বাগান ভাঙ্গিয়াছি। আমি হনুমান, কিষ্কিন্ধ্যার রাজা মৃগ্রীবের দূত, রামের সেবক। তুমি এত বড় রাজা ; তোমার এ কেমন ভুবুদ্ধি যে, পরের স্ত্রী চুরি করিয়া আনিলে ! যদি ভাল চাও, মানে মানে রামের সীতা রামকে ফিরাইয়া দাও, নচেৎ কিছুতেই তোমার রক্ষা নাই !”