পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্য যাইত। দরিদ্র ধীবরের আত্মপ্রাণের মায়া বিসর্জনের এ পবিত্র ইতিহাস কয়জন জানে ? কয়জন রামচরণকে চিনে? কয়জন তাহার গুণের আদর করে ? পুৰ্ব্বৰঙ্গের এক ক্ষুদ্র - নগণ্য পল্পীর, ততোধিক নগণ্য কুটীরে বিকট দারিদ্র্যের সহিত সংগ্ৰাম করিয়া রামচরণের দেবদুলভ পবিত্র জীবন কাটিয়া গিয়াছে । - আজ সে এই পৃথিবীতে বাচিয়া আছে কি না, সে সংবাদও আমি রাখি না । কবির কথায় বলিতে ইচ্ছা করে ঃ “Full many a flower is born to blush unseen, And waste its sweetness on the desert air.' পদ্মার বক্ষে নিরক্ষর, দেবহৃদয় কত মাঝি আছে, তাহা কে জানে, আর কেই বা তাহার সন্ধান লয়, কেই বা তাহার পুরস্কার করে । এই সময়ের মধ্যে আমাদের ডিঙ্গীনৌকা পদ্মা ছাড়িয়া একটা খালের মধ্যে প্ৰবেশ করিয়াছে । রামচরণ আমাদের সঙ্গে গল্প করিতেছে বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে আপনি কাজও করিতেছে । এই খালের ধারেই আমার বন্ধুর গৃহ । খাল দিয়া প্ৰায় দুই ক্রোশ পথ যাইয়া আমরা ঘাটে পৌছিলাম। আমার বন্ধুর পিতা বেলা ১টা হইতে ঘাটে আসিয়া বসিয়া আছেন । কখন “আমরা আসিয়া পৌছিব। তাহার ঠিকানা নাই ; কিন্তু যে সময়ে সাধারণতঃ রেলের লোক গ্রামের ঘাটে আসিয়া পৌঁছে, বৃদ্ধ সেই সময় হইতে ঘাটে বসিয়া আছেন। পুত্র-মেহের এমনই টান ! দূর হইতে ঘাটের উপর বৃদ্ধ পিতাকে দেখিয়া বন্ধু ভক্তিগদগদ স্বরে বলিলেন, “ঐ দেখুন, আমার বাবা ঘাটে অপেক্ষা করিতেছেন।” অতি বাল্যকালে wR)