*〉br জগন্নাথমঙ্গল । কহিব এ কথা । ভাবিতে ভাবিতে অতি দুঃখিত হইল । শুল্কমুখে গোবিন্দের সম্মুখে বসিলা । কমলাঘ বিষন্ন৷ দেখিয়া নারাযণ । ত্রস্ত হয় জিজ্ঞাসিল দুঃখের কারণ । কহ প্রিয়ে কেন হেন দেখি যে তোমারে । শুনি অবনত মাথে কহে মৃদুঃস্বরে ৷ শুন নাথ কেহ কিছু হইলে স্বাকার । নাহি দিলে কিবা হয কহ সরোদ্ধার। লক্ষীব শুনিয। প্রশ্ন কহে লক্ষ্মীপতি । অঙ্গীকার ব্যর্থ হৈলে হয অধোগতি।। প্রশ্নের কারণ কিবা কহ সুরেশ্বরী । শুনিষ। কহেন দেবী সবিনষ করি । পুৰ্ব্বে নিষেধিলে তব উচ্ছিষ্ট বিষয । কারে নাহি দেই তব অণজী-ভঙ্গ-ভয । নারদ ইহাৰ কারণ তপস্যা করিল। পুনঃ গুপ্তদাগীৰূপে অনেক সেবিল ।। তাহার কঠোব দেখি উপজিল দলা । কহিনু প্রসাদ দিব সম্মতি করি যা । যদি অনুচিত অতি এ ভিক্ষ আমার । তথাপিও চাহি দাঘ খণ্ডাহ এইবাব । দাদীরে করিযী দয়া প্রভু দযময় । নারদে প্রসাদ দেহ হইধ। সদ্য । কমলার অসম্ভব অঙ্গীকার শুনি । মনে মনে চিন্তিত হইল। চিন্তামণি । কাবণ করণ সব জানেন কারণ । হাসিয। বলেন তীরে মধুৰ বচন । যদি হেন বস্তু অন্য পাইতে ন৷ পাবে। তবু তোমা বচনে দিলাম নারদেবে। অভিলাষ পুর্ণ হৈল লক্ষী হরবিতে। পঞ্চাশ ব্যঞ্জন অন্ন রান্ধিল। ভূরিতে। ভোজন করিলা তবে প্রভু নারাযণ। প্রসাদ লইঘা লক্ষী করিলা গমন । আনন্দে ধাইযা গেল মুনি সন্নিধানে । লহ বলি দিলা তারে হরষিত মনে । পরম দুল্লভ বস্তু পাইধ। মুনিবর। লক্ষীব চরণে নতি করিল। বিস্তর । শ্ৰীমহাপ্রসাদ তবে মস্তকে বন্দিষা । ভোজন করিলা কৃতকৃতাৰ্থ মানিয়া ৷ লক্ষী নাবষণ পদে প্রণাম করিয়। চলিলেন মুনিবর বিদায় হইয়। শ্ৰীমহাপ্রসাদ ভুঞ্জি মহামুনিৰ্বর । ধরিলা উজ্জ্বল তেজঃ জিনিয়া ভস্কর । অৰ্ণৱন্দ না ধরে অঙ্গে চলিতে না পারে A ক্ষণে
