পাতা:জগন্নাথের রথ - শ্রী অরবিন্দ.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জগন্নাথের রথ

 তামসিক অহঙ্কারের গরুর গাড়ী যতক্ষণ গ্রামের কাঁচাপথে চলে, ততক্ষণ রক্ষা। যেদিন জগতের রাজপথে সে উঠিয়া আসিবে যেখানে ভূরি ভুরি বেগদৃপ্ত মোটরের ছুটাছুটি, তখন তাহার কি পরিণাম হইবে, সে কথা ভাবিতেই প্রাণ শিহরিয়া উঠে। বিপদ এই যে রথ বদলানের সময় চেনা বা স্বীকার করা তামসিক অহঙ্কারের জ্ঞান শক্তিতে কুলায় না। চিনিবার প্রবৃত্তিও নাই, তাহা হইলে তাহার ব্যবসা ও মালিকত্ব মাটি। সমস্যা যখন উপস্থিত, যাত্রীদের মধ্যে কেহ কেহ বলে “না থাক্, ইহাই ভাল, কেননা ইহা আমাদেরই” —তাঁহারা গোড়া অথবা ভাবুক দেশভক্ত। কেহ কেহ বলে, “এদিকে ওদিকে মেরামত করিয়া লও না” —এই সহজ উপায়ে নাকি গরুরগাড়ী অমনি অনিন্দ্য অমূল্য মোটরে পরিণত হইবে; —ইঁহাদের নাম সংস্কারক। কেহ কেহ বলে, “পুরাতন কালের সুন্দর রথটি ফিরিয়া আসুক” —তাঁহারা সেই অসাধ্য-সাধনের উপায়ও খুঁজিতে মাঝে মাঝে প্রয়াসী। আশার অনুরূপ ফল যে হইবে, তাহার বিশেষ কোন লক্ষণ কোথাও কিন্তু নাই।

 তিনটির মধ্যেই যদি পছন্দ করা অনিবার্য্য হয়, আরও উচচতর চেষ্টা যদি আমরা পরিহার করি, তবে সাত্ত্বিক অহঙ্কারের