বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श०३ জন্মভূমি। ৬ষ্ঠ সংখ্যা । ঠেলিয়া গৃহ মধ্যে প্ৰবেশ করিল, নাকি সুরে চীৎকার করিয়া বলিল, “কি গো বড় বাবু, আজি দুর্গাপূজার ষষ্টি, কতদিকে কতলোক কত প্রকার আমোদ আহলাদ করিাতেছে, তুমি আমাদের ডেপুটির দাদা, তুমি কি না। শশান ঘাটের গঙ্গাযাত্রীর মত নিঃশব্দে পড়িয়া আছ, ব্যাপারখানা কি ? ঘরে আলো না থাকিলে আমি হয়ত, তোমাকে মাড়াই ৭ ফেলিতাম, সত্য সত্যই অন্তর্জলির আয়োজন করিতে হইত । মুখের চাদরখানা একটু সরাইয়া এক হাতের পাঁচটি অঙ্গুলি সঞ্চালন করিয়া অৰ্দ্ধস্ফটিশ্বরে বলিলেন, “চুপ চুপ, আন্তে কথা কও, বিধু যেন শোনে না। চুপ কয়ে বোসে, দরজা বন্ধ কর।” যে লোকটি আসিল সে লোকটি বড় বাবুর একজন সখের ইয়ার, নাম রসিক লাল। বাবুর ঈঙ্গিত বুঝিতে না পারিয়া ধীরে ধীরে দরজা ভেজাইয়া, রসিকলাল কঁচুমাচু মুখে বড় বাবুন্ন পার্থে গিয়া বসিল, বড় বাবু পূর্বের ন্যায় মুখ ঢাকিলেন, দীর্ঘ দীর্ঘ নিশ্বাস পড়িল, সে নিশ্বাসের শব্দ রসিকলালের কৰ্ণে গেল । ভাব বুঝিতে না পারিয়া, ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বাবুর মুখেয়া চাদরের কাছে মুখ লইয়া স্নাসিকলাল চুপি চুপি বলিলেন, “বদ স্নং বাদ য়াং ! বলি কিছু আছে কি ? দুৰ্গাপূজার ষষ্টি, সাদা চোখে থাৰুতে নাই, বলি কিছু আছে কি ?” আর একবার মুখের চাদর খুলিয়া চুপিচুপি বলিলেন, “চুপকল্প ভাই, চুপ কয়, বিধু যেন শোনে না।”- আমি— বলিতে বলিতে তাকিয়ার নীচে হইতে একটা চাবির রিং বাহির করিয়া, সি কোর হাতে দিয়া বলিলেন, “আলমায়িতে আছে, ৰাছিয়া কয় ; কিন্তু দেখ ভাই বিধু যেন শোনে না ।” রসিকলাল চাবি লইয়া আল মারি খুলিয়া বোতল গ্লাস বাহির করিল, পুর্ণ এক পাত্ৰ ঢালিয়া গর্ভে দিয়া, আরামে নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল আঃ ! উভয়েই চুপ। পাঁচ মিনিট পরে রসিকলালের উদরে আর এক পাত্ৰেয় প্ৰবেশ ; মুখে বাক্য नाहै। जब अँiछ विनिछ अहम তৃতীয় পাত্র । মুখে বাক্য নাই । এই সময় তাকিয়ার উপর একটু উচু হইয়া বড় বাবু চুপি বলিলেন বাঃ।। তুমি বেশ ঠাণ্ড আছ। তিনবার খেয়েছ, ই শব্দটি নাই। খুব বাহাদুর। তবে আমি একটু আহিলাদে মুখ ফুলাইয়া রসিকলাল বলিল, স্বচ্ছদে খাও, কুছ পিক্সওয়া নাই । দেখিছ তো অামি কেমন ঠাণ্ড । আস্তে ব্যতে বড়বাবু উঠিয়া বসিবার চেষ্টা করিলেন, বালিসের উপর হইতে