88 জন্মভূমি। २३ ग्रंथ ! মনে করুন, আপনি পূজা করিবার জন্য একটী পার্থিব শিব গড়িলেন । এ স্থানে “শিব” একটী কাৰ্য্য এই কাৰ্য্য সমাধা করিবার জন্য কয়েকটিী “কারণ” সমাবেশ হইলে এ কাৰ্য্যটী সমাধা হয়। এক্ষণে বিচার করিয়া বুঝিতে হইবে যে, প্ৰথম উপযুক্ত মাটী বা উপাদান আবশ্যক, শিব গড়িতে জানে, এ প্রকার বুদ্ধিমান এবং কাৰ্য্যক্ষম একজন লোক বা কৰ্ত্তার আবশ্যক ; শাস্ত্রানুসারে ‘শিবের মাটীকে উপদান কারণ, শিব নিৰ্ম্মাতাকে নিমিত্ত কারণ বলে, ইহার সঙ্গে সঙ্গে শিবনিৰ্ম্মানের উদ্দেশ্যও ( পুজাকার ) একটা জন্য কারণ বলিয়া মনে রাখিতে হইবে। এই বিচারে অনায়াসে বুঝি পারা যায় যে, সৃষ্টি কাৰ্য্যের কত্ত্বর নিমিত্ত-কারণ, উপাদানকারণ এবং ইচ্ছা বা জন্য কারণ, এই তিনটি প্ৰধান কারণ বীজরাপে কারণশরীরী-ব্রহ্মে।” বা শ্ৰীভগবানে বিরাজিত আছে । আবার জগৎ সৃষ্টির প্রাকালে, এই কারণ শরীরী “ব্রহ্মের” বা ইচ্ছাময় ভগবানের ইচ্ছায়, উক্ত কারণী-ভূত সৃষ্টি বীজত্ৰয় পরিণত হইয়া এই ত্ৰিগুণাত্মিকজগৎক্সপে সংপ্ৰকাশ হয়। বেদে এই জগৎরাপে পরিণত ব্ৰহ্মকে-সগুণ-ব্ৰহ্ম বলে। এই গুণময় ব্রহ্মের স্বরূপ ভাল করিয়া বুঝতে গেলে একটী রাজার রাজ্য শাসন প্ৰণালী ভাল করিয়া বুঝতে হয়। মনে করুন, মহামহিম ভারতেশ্বর নিজে ভারত শাষনের সর্বশক্তির অধিকারী হইয়া, স্বয়ং রাজ প্রাসাদে আত্মীয় স্বজনগণের সহিত পারবেষ্টিত থাকিয়া রাজরাণী সহ, আনন্দ উপভোগ করিতেছেন। তঁহার রাজ শক্তি মন্ত্রীকে আরোপ করিয়া, তাহাকে কতকগুলি নিয়মের অধীন রাখিয়া রাজ্য শাসন ভার তাহার উপর নির্ভর রাখা হইয়াছে। মন্ত্রী মহাশয়ও আবার তাহার প্রাপ্ত অধিকাংশ রাজশক্তি রাজপ্ৰতিনিধি বা বড় লাটের উপর আরোপ করিয়া তাহাকে কতকগুলি নিয়মের অধীন করিয়া তাহার উপর ভারতরাজ্যের শাসন ভার অপণ করিয়াছেন । বড়লাট, তাহার প্রাপ্ত অধিকাংশ রাজশক্তি প্ৰাদেশিক চারিজন ছোট লাটের উপর আরোপ করিয়া তাহাদিগকে কতকগুলি নিয়মের অধীনে রাখিয়া প্ৰাদেশিক রাজ্যশাসন ভার অৰ্পণ করিয়াছেন । আবার প্ৰাদেশিক ছোটলাটগণ তাঁহাদের অধীন জেলা সকলের ম্যাজিষ্ট্রেট দিগের উপর তাহাদের প্রাপ্ত রাজশক্তির কতকাংশ আরোপ করিয়া তাহাদিগকে কতকগুলি নিয়মের অধীনে রাখিয়া প্ৰত্যেক জেলার শাসন ভার অৰ্পণ করিয়াছেন। আবার প্ৰত্যেক জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, তঁহাদের প্রাপ্তরাজশক্তির কতকাংশ প্ৰত্যেক মৎকুমার ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট দিগের উপর আরোপ করিয়া র্তাহাদিগকে কতকগুলি
