বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেন। এই অভিষেক উপলক্ষেই মিলের পূৰ্ব্বোল্লিখিত বক্তৃত । শাস্ত্রের কোন কোন শাখার উচ্চ শিক্ষার অঙ্গ বলিয়া পরিগণিত হওয়t উচিত, কিরূপ প্রণালীতেই বা তাহদের আলোচনা হওয়া উচিত, কিরূপে আলোচিত হইলেই বা তাহাদিগ হইতে কিরূপ ফলের উৎপত্তির সম্ভাবনা, এবং কিরূপেই বা অনুস্থত হইলে তাহাদিগ হইতে সৰ্ব্বোংকৃষ্ট ফলের সম্ভাবনা, ইত্যাদি বিষয়ে মিল, যে সকল চিন্তা ও মত আজন্ম সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলেন, এই উপলক্ষে তিনি সে সমস্তই ব্যক্ত করেন। পুরা-প্রচলিত লাটিন গ্রীক, প্রভৃতি প্রাচীন ভাষা সকলের অধ্যয়নের সহিত, নব-প্রবর্তিত বিজ্ঞানের অনুশীলন যে উচ্চশিক্ষার পক্ষে একান্ত আবশ্যক, তাহা তিনি প্রবলতর যুক্তি প্রদর্শন দ্বারা প্রতিপন্ন করিয়া দিলেন । প্রাচীন ভাষাস কলের অধ্যয়ন ও বিজ্ঞানের যে অনুশীলন উচ্চ শিক্ষা বিধান পক্ষে পরস্পর-সহযোগী, সেই অধ্যয়ন ও অনুশীলন যে অনেক সময় উচ্চ শিক্ষা বিধানপক্ষে পরস্পরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে, তাহার কারণ যে সাধারণ শিক্ষা-প্রণালীর লজ্জাকর দূষিতাবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে—তাহ তিনি স্পষ্টাক্ষরে বুঝাইয়া দিলেন । মিলের এই বক্তৃতা যে শুদ্ধ উচ্চ শিক্ষারই উr cয য় দিল এরূপ নহে ; সুশিক্ষিত ব্যক্তিদিগের ও মনে উচ্চ লিপি'ব ঈ প্রত্যঙ্গাদি বিষয়ে এত দিন যে সকল কুসংস্কার বদ্ধমূল ছিল, «াহারও নিরাশ করিল। * * এই সময়ে তিনি আরও একটী গুরুতর বিষয়ে হস্তক্ষেপে ধরেন ; কিন্তু পালিয়ামেণ্টে থাকিতে থাকিতে তাঙ্গ, সমাপ্ত করিয়া উঠিতে পারেন নাই। সেই গুরুতর বিষয়—পিতৃদেব রচিত “মানব-মনের বিশ্লেষণ” বিষয়ক প্রস্তাবের দ্বিতীয় সংস্কৰণের মুদ্রাঙ্কন ও প্রকাশন । ইহা দ্বারা তিনি যে শুদ্ধ পিতৃদেবের পবিত্র স্মৃতির প্রতি যথোচিত ভক্তি প্রদর্শন করিয়াছিলেন এরূপ নহে, মনোবিজ্ঞানের প্রতিও তাতীর প্রকৃত কর্তব্যসাধন করা হইয়াছিল। তিনি টিপ পনী লিখিয়৷ সেই কুমার পুস্তক খানির মত গুলিকে উন্নত বিজ্ঞান ও দর্শনের উপযোগী করিয়া দিলেন। এই গুরুতর কাৰ্য্যে তিনি একাকী প্রবৃত্ত হন নাই। সুবিখ্যাত দার্শনিক