মৃত্যু তদ্বিরহে পিতৃবিয়োগজনিত শোকচিহ্ন ধারণ করিল। যাহাদিগের মঙ্গলসাধনে তিনি জীবন উৎসর্গীকৃত করিয়াছিলেন, সেই কোমলহৃদয় রমণীকুল শোকে দরবিগলিতাশ্র হইলেন। সংক্ষেপতঃ উনবিংশ শতাব্দীর দার্শনিকদিগের চূড়ামণি, নৈতিক উৎকর্ষের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট আদর্শস্থল, চিন্তাসাগরের তলম্পূর্শা ও পারদর্শী মিল নাই—ব্রিটনের চতুর্দিকে এই সংবাদ প্রচারিত হইলে সমস্ত ব্রিটিশ জাতিই গভীর শোকুচিহ্ন ধারণ করিল। মিল যৎকালে পালিয়ামেণ্টীয় আসনে উপবিষ্ট ছিলেন, তখন পালিয়ামেণ্টে ভারতীয় কোন গুরুতর প্রশ্ন উত্থিত হয় নাই । উখিত হইলে তিনি যে ভারতের পক্ষই সমর্থন করিতেন, তাহা ठाशब জামেকা ও আয়ল'প্লুের প্রতি ব্যবহার দেখিলেই স্পষ্ট অনুমান করা যাইতে পারে। মিল বে ভারতের প্রকৃত চিন্তৈৰী ছিলেন, তাহার এরূপ আনুমানিক প্রমাণ ভিন্ন ও দুই একটা প্রত্যক্ষ প্রমাণ ও বিদ্যমান আছে । কথিত আছে, ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বকালে উক্ত কোম্পানির নিকট হইতে ভারতবর্ষের বিদ্যীশিক্ষা-বিষয়ক যে প্রসিদ্ধ লিপি প্রেরিত হয়, তাহার রচনাকার্যে মিলের ভূয়সী সহায়তা ছিল। মিল তৎকালে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর করেসপনডেনস বিভাগের পরীক্ষকেই পদে অভিষিক্ত ছিলেন। কোর্ট অব ডাইরেক্টার হইতে ভারত, বর্ষে যে সকল আজ্ঞালিপি আসিত, তাহা মিলের পরীক্ষা ভিন্ন প্রেরিত হইত না । সুতরাং উক্ত লিপিও মিলের দ্বারা পরীক্ষিত ও অনুমোদিত হষ্টয়াই ভারতে প্রেরিত হয়। মিলের “ লিবাটি?’ নামক স্বাধীনতা -বিষয়ক পুস্তকে যে সকল মত পরিব্যক্ত হইয়াছে এবং সেন্ট আং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৰক্ত তাকালে তিনি শিক্ষা বিষয়ে যে সকল মত প্রকা করিয়াছেন, সেই সকল মতের সহিত এই ভারতীয়-শিক্ষা-বিষয়ক-লি:ি প্রচাৱিত্ৰ মতের সম্পূর্ণ ঐক্য উপক্ষিত হয় । তাহার মতে চৌর্য্য প্রভৃ অপরাধে দণ্ড প্রদান, করাষ্ট যে রাজার প্রধান কাৰ্য্য তাহা না • রাজার প্রজাদিগের প্রতি যতগুলি কৰ্ত্তব্য আছে, তন্মধ্যে প্রক্ত্যেক প্র
