পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক পৃথিবীর মৃত্যু প্রায় হয়ে গেলে অন্য-এক পৃথিবীর নাম অনুভব ক’রে নিতে গিয়ে মহিলার ক্রমেই জাগছে মনস্কাম ; ধূমাবতী মাতঙ্গ কমলা দশ-মহাবিদ্যা নিজেদের মুখ দেখায়ে সমাপ্ত হলে সে তার নিজের ক্ল ও পায়ের সঙ্কেতে পৃথিবীকে জীবনের মতো পরিসর দিতে গিয়ে যাদের প্রেমেব তবে ছিল অগড়ি পেতে তাতারা বিশেষ কেউ কিছু নয় ;-- এখনও প্রাণের হিতাহিত না জেনে এগিয়ে যেতে চেয়ে তবু পিছু হটে গিয়ে হেসে ওঠে গৌডজনে চিত গরম জলের কাপে ভবেনের চায়েব দোকানে ; উত্তেজিত হয়ে মনে করেছিল ( কবিদের হগড় যতদূর উদ্বোধিত হয়ে যেতে পারেযদিও অনেক কবি প্রেমিকের তাতে স্ফীত তয়ে গেছে র"ঢ় ) ‘উনিশ শো বেয়াল্লিশ সালে এসে উনিশ শো পচিশের জীব-— সেই নারী আপনার হংসীশ্বেত রিরংসার মতন কঠিন : সে না হলে মহাকাল আগমণদের রক্ত ছেকে নিয়ে, বণর ক’রে নিত না কি জনসাধারণভাবে স্যা কারিন । আমাদের প্রাণে সেই অসন্তোষ জেগে ওঠে, সেই স্থির করে ; পুনরায় বেদনায় আমাদের সব মুখ স্থল হয়ে গেলে গাধার সুদীর্ঘ কান সন্দেহের চোখে দেখে তবু শকুনের শেয়ালের চেকনাই কান কেটে ফেলে।’ ১৪৭