পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যর্থ উত্তরাধিকারে মাঝে-মাঝে তবু কোথাকার স্পষ্ট সূর্য-বিন্দু এসে পড়ে ; কিছু নেই উত্তেজিত হলে ; কিছু নেই স্বার্থের ভিতরে ; ধনের অদেয় কিছু নেই, সেই সবই জানে এ খণ্ডিত রক্ত বণিক পৃথিবী ; অন্ধকারে সব- চেয়ে সে-শরণ ভালো ঃ যে-প্রেম জ্ঞানের থেকে পেয়েছে গভীরভাবে অালো । মহাত্মা গান্ধী অনেক রাত্রির শেষে তারপর এই পৃথিবীকে ভালে ব’লে মনে হয় ; –সময়ের অমেয় আঁধারে জ্যোতির তারণকণা আসে, গভীর নগরীর চেয়ে অধিক গভীরতর ভাবে পৃথিবীর পতিতকে ভালোবাসে, তাই সকলেরই হৃদয়ের পরে এসে নগ্ন হাত রাখে ; অণমরণও অালো পাই – প্রশাস্ত অমল অন্ধকার মনে হয় আগমণদের সময়ের রাত্রিকেও । একদিন আমাদের মর্মরিত এই পৃথিবীর নক্ষত্র শিশির রোদ ধূলিকণা মানুষের মন অধিক সহজ ছিল—শ্বেতাশ্বতর যম নচিকেতা বুদ্ধদেবের । কেমন সফল এক পর্বতের সানুল্লাদেশ থেকে ঈশণ এসে কথা ব’লে চ’লে গেল—মনে হল প্রভাতের জল কমনীয় শুশ্রুষার মতো বেগে এসেছে এ পৃথিবীতে মানুষের প্রাণ অtশা ক’রে অাছে ব’লে—চায় ব’লে,— নিরাময় হতে চায় ব’লে । পৃথিবীর সেই সব সত্য অনুসন্ধানের দিনে বিশ্বের কণরণশিল্পে অপরূপ অগভীর মতন SbO