পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যিই আনন্দসূষ্টির সে-সব গভীর জ্ঞান উপেক্ষিত মৃত অপজ, মৃত, জ্ঞান পাপ এখন গভীরতর ব’লে ; আমরা অজ্ঞান নই—প্রতিদিনই শিখি, জানি, নিঃশেষে প্রচার করি, তবু কেমন দুরপনেয় স্থলনের রক্তশক্তের বিয়োগের পৃথিবী পেয়েছি । তবু এই বিলম্বিত শতাব্দীর মুখে যখন জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানের প্রশ্রয় ঢের বেড়ে গিয়েছিল, যখন পৃথিবী পেয়ে মানুষ তবুও তার পৃথিবীকে হারিয়ে ফেলেছে, আকাশে নক্ষত্র সূর্য নীলিমার সফলতা আছে,— আছে, তবু মানুষের প্রাণে কোনো উজ্জ্বলতা নেই, শক্তি অাছে, শান্তি নেই, প্রতিভা রয়েছে, তাব ব্যবহার নেই, প্রেম নেই, রক্তাক্ততা অবিরল, তখন তো পৃথিবীতে আবার ঈশার পুনরুদয়ের দিন প্রার্থনা করার মতো বিশ্বাসেব গভীরতা কোনো দিকে নেই ; তবুও উদয় হয়- ঈশ্য নয়— ঈশার মতন নয়— আজি এই নতুন দিনের অ র-এক জনের মতো ; মানুষের প্রাণ থেকে পৃথিবীর মানুষের প্রতি যেই অস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ফিরে আসে, মহাত্মা গান্ধীকে অণস্থা করা যায় ব’লে ; হয়তো-বা মানবের সমাজের শেষ পরিণতি গ্লানি নয় ; হয়তে বা মৃত্যু নেই, প্রেম আছে, শান্তি আছে, মানুষের অগ্রসর আছে ; একজন স্থবির মানুষ দেখ অগ্রসর হয়ে যায় পথ থেকে পথা স্তরে—সময়ের কিনগরণর থেকে সময়ের দূরতর অন্তঃস্থলে ;–সত্য আছে, আলো আছে ; তবুও সত্যের আবিষ্কারে । অণমরণ অাজকে এই বড় শতকের মানুষেরা সে-আলোর পরিধির ভিতরে পড়েছি । আমাদের মৃত্যু হয়ে গেলে এই অনিমেষ আলোর বলয় মানবীয় সময়কে হৃদয়ে সফলকাম সত্য হতে ব’লে জেগে রবে ; জয়, আলো সহিষ্ণুতা স্থিরতার জয় । ՏեrՖ