পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয় । সকল পড়ন্ত রোদ চারিদিকে ছয়টি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে, গ্রীমের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে, এখানে পালকে শ-য়ে কাটিবে অনেক দিন— জেগে থেকে ঘমোবার সাধ ভালোবেসে । এখানে চকিত হতে হবেনাকো, ত্রস্ত হয়ে পড়িবার নাহিকো সময় ; উদ্যমের ব্যথা নাই—এইখানে নাই আর উৎসাহের ভয় ; এইখানে কাজ এসে জমেনাকো হাতে, মাথার চিন্তার ব্যথা হয় না জমাতে ; এখানে সৌন্দয এসে ধরিবে না হাত অার, রাখিবে না চোখ আর নয়নের পর ; ভালোবাসা আসিবে না— জীবন্ত কৃমির কাজ এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার ভিতর । অলস মাছির শবেদ ভ’রে থাকে সকালের বিষন্ন সময়, পথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ ব’লে মনে হয় ; সকল পড়ন্ত রোদ চারিদিকে ছয়টি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে, গ্রীষ্মের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে, "এখানে-পালকে শ-য়ে কাটিবে অনেকদিন জেগে থেকে ঘমাবার সাধ ভালোবেসে । ক্যাম্পে এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি ; সারারাত দখিনা বাতাসে আকাশের চাঁদের আলোয় এক ঘাইহরিণীর ডাক শনি— কাহারে সে ডাকে । কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার ; বনের ভিতরে আজ শিকারীরা আসিয়াছে, আমিও তাদের ঘ্রাণ পাই যেন, এইখানে বিছানায় শয়ে-শয়ে ঘমে আর আসেনাকো রসন্তের রাতে । চারিপাশে বনের বিস্ময়, চৈত্রের বাতাস, জ্যোৎস্নার শরীরের সবাদ যেন ; ঘাইমগাঁ সারারাত ডাকে ; ૭૦