পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারি না বউঠান।

  • কেন ?"

না, যেখানে জীবন মানে জীবস্মৃত অবস্থা, অর্থের দুৰ্গতি যেখানে মানুষকে দিয়েছে সঙ্কুচিত করে, সেখানে সৌন্দর্যের কথাই বা কী ভাবব, আনন্দের, বিধাতার স্পৰ্শই বা পাব কী করে? তিনি তো আনন্দের শুধু নয়, তিনি তো বেদনা—বললেন রবি ঠাকুর কিন্তু সে বেদনার ভেতরেও একটা রূপ আছে বউঠান, তোমাদের ব্যথা তো শুধু কুৎসিত—মা অধোমুখে বসে রইলেন। ভগবানকে দেখলেন মেজকাকা ?” ‘কোথেকে ?” কুমায়ুনেই & র জানলায় বসে ?” মেজকাকা বিরক্ত হয়ে আমার দিকে তাকালেন। ‘হোটেলের মেনুই বা কী ছিল? কী আন্দাজ পঞ্চরং চলত?’ কে যেন আস্তে বললে। "ছেলেমেয়েরা গিয়েছিল ?’ ‘হ্যা গিয়েছিল কয়েকজন।’ বডড ঝালাপালা করে তোলে নি ?” না, শাস্তশিষ্টই তো ছিল’ ‘পরমাত্মা ও পরমেশ্বর তাদেরও বঞ্চিত করেন নি ? না, কেনই-বা করবেন? তাদের টাকা আছে বলে? সুচের ছ্যাদা দিয়ে উট খ্রিস্টিনি কথা, ও-সব সেকেলে ঢুকতে পারে, কিন্তু ধনী স্বর্গে যেতে পারে না সে-কথা আমি মানি না। টাকা থাকলে স্ত্রী সন্তানের প্রতি কর্তব্য পালন করা যায়, ভালো জায়গায় যেতে পারি, ফাস্ট ক্লাস হোটেলে থাকা যায়, পরিপাটি খাওয়া-পরা হয়, ঘুম হয় চৌকোশ, মনে শান্তি থাকে, আমাদের জীবনের এ-রকম সৎ সচ্ছল ব্যবস্থার ভিতরেই ভগবান আমাদের হৃদয়ে নামবার ভরসা পান।’ হৃদয়টা ভেলভেটের কুশনের মতো না হলে তিনি নামেন না বুঝি ? শুনে মেজকাকার বৈঠকি অন্তরঙ্গতা এক-আধ মিনিট থেমে রইল।

  • * * * ಇಸ್ ' , 8 ಚಲಾ । |

তাই তো! এসেছ দেখছি।’ উঠে বসে একটা হাই তুলে, ‘এই অন্ধকার রাত-বিরেতে ঝড়-বাদলে কী করে যে তোমরা চলাফেরা কর বুঝি না, একটা লণ্ঠন নাও ! লণ্ঠন ? ও বড্ড ঝামেলা ঠাকুরপো’ ‘চোখ জুলে বুঝি? একটা কুপি আদি চাই না? VII