পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরানো যেতে পারে। পরশু পুরী যাবেন । কিংবা কাল ওঁর পুরী চলে যাবার আগে যদি আমি কাচড়াপাড়া গিয়ে শঙ্করবাবুর কাছ থেকে তদারকি বুঝে নিয়ে চার-পাঁচটা রাত থাকি র্কাচড়াপাড়ায়, তারপর জিতেন এলে ভানুকে নিয়ে এখানে চলে আসি ? সব ঘর-দোর বন্ধ করে যাবেন ওঁর পুরী যাবার আগে । ‘ভানু যে-ঘরে থাকে সেটাও ? ‘হ্যা । সেটা তো একটা ছোট খড়ের ঘর, ওদের দরদপলানের থেকে চাবশ হাত দূরে । সেটা পুড়িয়ে দিয়ে যাবে। ডিজইনফেক্ট করে যাবে সব । মুখ-চোখ কেমন কঠিন নিশব্দ হয়ে রইল। নিশীথের কথা বলা দরকার । কী ব্যবস্থা করবে তার একটা পরিষ্কার নির্দেশ, কিন্তু নিশীথ নির্দায় নির্বর্ণ হয়ে বসে রইল । ‘আমি একটা কথা বলি আপনাকে । সেইজন্যেই এখানে এসেছিলুম। পার্কসার্কাসের ফ্ল্যাটে আমি আর মা আছি, আর কেউ নেই । ভানুর চিকিচ্ছে আমিই করেছি কঁগচড়াপাড়ায় । অামার মনে হয় না, &টে। লাঙ্গ সেই ধরেছে । আবার এক্সরে করতে হবে । রোগ কঠিন খুব । কিন্তু অাশা ছেড়ে দেওয় যায় না । ভানুকে আমার ওখানে রাখতে চাই । আমার মার আপত্তি নেই। আপনার অনুমতি আছে ? নিশীথ নিজের চিন্তা-সকল্পের ছেড়া-ছেড়া খড় গুলোর ভিতর থেকে অন্ধকারে অন্ধ চোখে কিছু গ্রথিত করে নেবার চেষ্টা করছিল—খুবই এক মনে দেয়াল, কার্পেট, সোফ, বই, বাতাস, বাতি, সুবলেরও অস্তিত্বের উপর চার-আনি মনের—ক্রমণয়ত নির্মনের সিট আবরণ টেনে দিয়ে যেন । সুবল কথ। বলে যাচ্ছে টের পাচ্ছিল সে, কী বলছে সেটা শুনে, না শুনে, বুঝে, না বুঝে সুবলের কথা শেষ হল যখন তার স্বরূপ অনুভব করে নিতে পারল : বাতাসে অালোয় চিন্তার সুস্থিরতার ভিতর নিশীথ ফিরে এসেছে যেন প্রণয় । *ই্য আগছে”—নিশীথ বললে । ‘তা হলে আজ রাতেই নিয়ে আসব ভানুকে ? ‘আজ রাতেই ? তা কী করে হয় ? ‘আমার মোটরে ' ও মোটরও আছে তা হলে সুবলের । নিশীথ একটু ভেবে বললে, “আজি ՏԳ Օ