পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু বেশি আটকে গেছে কিনা। আমি ওকে আমাদের কলেজের হিস্ট্রির প্রফেসর বানিয়ে দিয়েছি । সগড়ে চারশ মাইনে ৷” ‘ল পাশ তো সুজয়নাথ । ‘ভাল পড়াতে পারে হিস্ট্রি, ’ “হিস্টিতে ট্রাইপসও তো বটে ? 'না, ওখানকার বার-অ্যাট-ল সুজয়, আর-কোনো পরীক্ষা দেয় নি। ও কলকাতা ইউনিভার্সিটির এম-এ, হিস্টি তে। ‘গোল্ড মেডেলিস্ট তো হিস্টিতে ? ‘কে ?’ ‘সুজয় । ‘সুজয়নাথ পড়ায় ভাল ।” জয়নাথ বললে । ঈশান স্কলার তো হিস্টিতে ? ‘কে ?’ ‘সুজয়নাথ । বেশ পড়ায় সুজয় । বেশ পড়ায় । স্যাডলার কমিশন এখন এলে বড় সুবিধে হত সুজয়নাথের । পরে মাইকেল স্যাডলার, চুরুটের আগুন নিভে গেছে জয়নাথের, চুরুটটাও শেষ হয়ে গেছে আর, সেটাকে অ্যাশট্রের ভিতর ফেলে দিয়ে একটা কড়কড়ে জাভা চুরুট বের করে ফেলে জয়নাথ । ‘বেশ জমিয়ে রাখতে পারে ক্লাসটাকে সুজয়নাথ, সুজয়নাথ ঈশান স্কলার কিংবা গোল্ড মেডেলিস্ট কি না সে সম্বন্ধে কোনো উচ্চবাচ্য করতে গেল না জয়নাথ । নিশীথও খোচাতে গেল না আর ; প্রফেসর ঘোষকে খুঁচিয়েছে, কুলদাকে খুঁচিয়েছে, কেন খোচাতে যাবে জয়নাথকে মিছিমিছি আর । সুজয়নাথ হয় তো ফাস্ট ক্লাস থাড কিংবা থাড ক্লাস ফাস্ট ; একই তো কথা, অণর এ সব আগমণদের দেশে ডিগ্রিদণর মাল পয়দণর ব্যাপারে । তবে অগর কেন মিছিমিছি সেকেণ্ড ক্লাস ফাস্ট ক্লাস কি না জিজেস করা । সেকেণ্ড ক্লাস পেয়ে প্রফেসর ঘোষ, কুলদারা তো জাকিয়ে আছে। কত ফাস্ট ক্লাস তো মোটা মাইনে পেয়ে মজতে-মজতেই কণটাল চিরটা কণল । ‘গয়ানাথবাবুর সঙ্গে আমার বাবার খুব ভাব ছিল।’ জয়নাথবাবু চুরুট টানতে-টানতে অস্ফুট স্বরে বললে, ‘শুনেছি। २४ ॐ