পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশীথবাবু আপনার ? ই্যা, বেশ টানাটানি ওঠে নমিতা দেবী। অামার তো হাত ফুলে গিয়েছিল । কেমন বেজৎ করে দেয় ।” ‘অণপনি নিয়েছিলেন ? কবে ? নমিত কফির কণপ সরিয়ে রেখে, নিশীথকে নয়—তার ভিতর দিয়ে অন্য কিছুকে, দেয়ালকে আলোকে শূন্যটাকে, যেন পর্যবেক্ষণ করতে-করতে জিজ্ঞেস করল । ‘কলকাতায় আসবার আগে, অtট-দশদিন হল । আবার ইনজেকশন কী হবে ?’ 'না, তাহলে আর-দরকার নেই | ' কোনো কথা নেই মুখে, বসে রইল কিছুক্ষণ । নমিত নিজের বা হাতের দিকে তাকগচ্ছিল । হাতটা প্রসারিত করে । কিন্তু, হাতের দিকে নয়, অন্য কোথাও তাকিয়ে ছিল যেন তার মন । কোথায়—ধরতে চাচ্ছিল নিশ্চয় । ওকে না-জিজ্ঞেস করে—ওকে না-জানতে দিয়ে ওর মনের লেখন জানতে যাওয়ার ভেতর চৈতন্যের ঘনতা রয়েছে খুব ; অনুভূতিটাকে ঠিক পথে চালিয়ে মাথা ঘাটিয়ে কাজ করতে হয় । কিন্তু তবুও ধরতে ছুতে পারা যায় না । আমি চোখ বুজে আছি, আমার এই হাতের তাসগুলোর ভিতর থেকে একটা তাস তুলে নাও তুমি—আমি বলে দেব কী নিয়েছ তুমি । কী নিয়েছ ? নিয়েছ হরতনের টেক্কা । তাসের এ খেলায় দিব্যচক্ষু লাভ করেছিল নিশীথ । যা বলে দিত তাই হত । নিশীথের মুখের দিকে তাকিয়ে থ হয়ে যেত বড় বড় সজঘর মাসটাররা । কিন্তু তাই বলে সব বিষয়ের দিব্যজ্ঞান লাভ করা কঠিন । নমি তার হাতে চিড়ে তন না হরতন ? হরতন ? হরতনের কোন তাসটা ? ‘আমি উঠি নমিত দেব। ” ‘কোথায় চললেন ?? ‘এই কাছেই কয়েকটা জায়গায় যাব—ডো ভার লেনে, একদালিয়া রোডে, বালিগঞ্জ স্টেশনে । আজ আর উত্তর কলকাতায় যাওয়া হবে না । ‘ফিরবেন কখন ? দুপুরবেল খেতে ফিরব । ‘কটfর সময় ? S)お、