পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*না । তিনি রোজ আগসেন না ।” “বায়ান্ন বছর মত বয়স আপনার বাবার । জৰ্ণদরেল মানুষ । এ রকম শক্ত পারালিসিস হল । প্যারালিসিস হয় কেন মানুষের ? নমিতা, অনিমেষ, জলে ভর্তি ঠাণ্ডা একটা কাচের গেলাসের দিকে, তাকিয়েছিল । সেটা তুলে নিয়ে গালে চেপে ধরল। তার পরে আরো ওপরে বা দিকের রগের ডানদিকের রগের ওপরে গেলাসটা চেপে রেখে নির্নিমেষ চোখে নিশীথের দিকে তাকিয়ে বললে, 'শরীরটাকে বেশি কবুল করলে হয়ে যায় । কিংবা মনটাকে ।” নিশীথ হাত বাড়িয়ে দিল আর-এক গ্লাস জল খাবে বলে । তাকিয়ে দেখল, সব গ্লাসের জল ফুরিয়ে গেছে । নমিতার হাতে জলভর্তি একটা গ্লাস আছে শুধু নমিতার কপালের ডানদিকের ব্যদিকের রগ স্নিগ্ধ হয়েছে, ঠাণ্ডা হয়েছে কপাল, মাথা ; ঠাণ্ডা জলের গেলাসটা গলে ছুইয়ে টেবিলের ওপর রেখে দিল । ‘জল খাবেন অণপনি ? “আগছে জল ঐ গেলাসটণয় ?” “আছে । আপনি তো স্কোয়াশ খাবেন না । এই যে গেলাসটা রাখলুম এটা কি নিঝ"রের জল ?’ “আণঃ, কী ঠাণ্ড ' গেলাসটা হাতে তুলে নিয়ে বললে নিশীথ । “রেফ্রিজারেটরে ছিল । তবুও এই গেলাসটার ভেতরে অনেকখানি বরফের গুড়ি ঢেলে দিয়েছে বাবুর্চি। দেখেছেন কত বরফ—গলে নি বেশি । নিশীথ জল শেষ করে গেলাসের বরফের তলানির দিকে তাকিয়ে দেখল । গেলাসের ভিতরে হাত ডুবিয়ে বরফের টুকরোগুলো তুলে নিল নমিতা ; কপালে রগে ঘষতে-ঘষতে উঠে দাড়গল । নাকে-চোখে ঘষতে লাগল । টেলিফোন ডাকছে নাকি ? তাড়াতাড়ি চলে গেল নমিতা । কেমন যেন মনপবনের মাঠে চড়িভগতির মত খাওয়া ওদের হয়ে গেছে । নিশীথ ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসল, বেসিনে প্রায় মিনিট পনের ধরে ভাল করে হাত-মুখ ধুয়েছে । নমিতা টেলিফেণন ধরতে সেই যে চলে গেছে নিজেদের ঘরের দিকে— তারপর এ দিকে অণসে নি । نیا 8۔