বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দময়ন্তী ইনি বলিলেন, “আমি আপনাকে হৃতরাজ্য, হৃতদ্রব্য, বিবস্ত্র, ক্ষুধিত, এবং শ্রান্ত দেখিয়া কি প্রকারে এই নির্জন বনে পরিত্যাগ করিয়া যাইতে পারি ? মহারাজ ! আপনি যখন ঘোর বনমধ্যে শ্রান্ত ও ক্ষুধাৰ্ত্ত হইয়া পূৰ্ব্বমুখ স্মরণ পূর্বক কাতর হইবেন,তখন আমি আপনার শ্রান্তি নিবারণ করিব”. অতঃপর বন ভ্রমণ করিতে করিতে ক্ষুধাতৃষ্ণায় ক্লান্ত হইয়া উভয়েই ধরণীতলে শয়ন করিলেন । দময়ন্তী নিদ্রিত হইলে, নল শরীরস্থ কলির কুপরামর্শের বশবৰ্ত্তী হইয়া ইহঁাকে ত্যাগ করিতে কৃত সঙ্কল্প হইলেন। অনস্তর অন্ধ বস্ত্র কৰ্ত্তন করিয়া নলরাজ উন্মত্তের দ্যায় গমন করিলেন । দময়ন্তী জাগরিত হইয়া অৰ্দ্ধ বস্ত্র চ্ছেদন পূৰ্ব্বক স্বামী গমন করিয়াছেন জানিতে পারিয়া নিরতিশয় দুঃখিত হইলেন। অনন্তর উন্মত্তার দ্যায় তাহার অন্বেষণে ইতস্ততঃ ধাবিত হইলেন । ইতিমধ্যে এক ভয়ানক অজগর ইহঁাকে গ্রাস করিবার উপক্রম করিল। পতিপরায়ণ দময়ন্তী মৃত্যুমুখে পতিত হইবার উপক্রম হইলেও স্বামীর জন্ত যাদৃশ শোক করিতে লাগিলেন নিজের জন্ত তাদৃশ কাতর হইলেন না । ইনি রৈারুদ্যমান হইয়া বলি লেন, “হ নাথ ! আপনি শ্রান্ত, [ ००१ ] ক্ষুধাৰ্ত্ত ও মান হইলে কে আপনার ক্লেশ শাস্তি করিবে ? আপনি শাপমুক্ত হইয়া পুনৰ্ব্বার বুদ্ধি, চৈতন্ত, রাজ্য প্রাপ্ত হইলে, তখন আমাকে অনুস্মরণ করিয়া কি প্রকারে থাকিবেন” । ইতিমধ্যে এক ব্যাধ আসিয়া সেই সৰ্প বিনাশ করিল। পরে দুবৃত্ত ব্যাধের কুঅভিসন্ধি জানিতে পারিয়া ইনি পরমেশ্বরের শরণাগত হইয়া পামরের হস্ত হইতে রক্ষণ পাইবার জন্ত অতি দীন ও তদগত চিত্তে প্রার্থনা করিলেন । কথিত আছে যে ব্যাধ তখন গতপ্রাণ-হইয়া ধরাতলে পতিত হইল। অতঃপর দময়ন্তী তিন অহোরাত্র বনে পৰ্য্যটন করিয়া এক বণিক দলের সাক্ষাৎ লাভ করিলেন । ইনি তাহাদের সহ চেদিরাজধানীতে উপস্থিত হইয়া রাজমাতার আশ্রয়ে রহিলেন । বিদর্ভরাজ, কল্প ও জামাতার অন্বেষণে নানাদেশে লোক প্রেরণ করিয়াছিলেন। সুদেব নামক জনৈক ব্রাহ্মণদূত চেদিরাজ্যে গমন পূর্বক রাজপুরে দময়ন্তীর দশন পান । তৎপরে রাজমাতার ( দময়ন্তীর মাতার ভগিনী ) অনুমতি লইয়া দময়ন্তী স্বদেব সহ পিতৃভবনে আগমন পূর্বক পুত্র কন্ত ও পিতৃমাতৃদর্শনে কিঞ্চিৎ সুস্থ হইলেন । : তদনস্তর দময়ন্তীর সাঙ্কেতিক