\ বসুদেব—কৃষ্ণের পিতা। বস্থ [ ১৭৯ ] বাণ ধৃত করিয়া তাহার উদরে উক্ত পুত্রকন্ত প্রাপ্ত হইয়া, ইহঁার নিকট আনয়ন করে । ইনি পুত্রকে গ্রহণ করিয়া কন্তটিকে ধীবরহস্তে অর্পণ করিলেন । এই কন্যাই ব্যাস মাতা সত্যবতী । (মহ) ইহঁার পিতার নাম শূর। ইহঁার স্ত্রী রোহিণীর গর্ভে বলরামের জন্ম হইলে, কংসের ভয়ে ইনি র্তাহাকে ব্ৰজে নন্দের আশ্রয়ে রাখিয়াছিলেন । ইনি দেবকের কন্যা দেবকীকে বিবাহ করেন । কথিত আছে যে ইহঁাদের বিবাহ উৎসবে ংস দৈববাণীতে অবগত হন যে দেবকীর গর্ভজাত ষষ্ঠ সন্তান তাহাকে বিনাশ করিবে । তিনি তাতন্ত ইহঁাকে ও দেবকীকে কারারুদ্ধ করিলেন । ইহঁাদের এক একটা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে, আর কংস তাহা বিনাশ করেন । এই রূপে দেবকীর গর্ভজাত ইহঁার সপ্তপুত্র নষ্ট হয় । ইহঁার অষ্টম পুত্র কৃষ্ণ অষ্টম মাসে ভূমিষ্ঠ হইলে, ইনি সেই রজনীতে র্তাহাকে মিত্র নন্দঘোষের গৃহে গোপনে রক্ষা পূর্বক তাহার সদ্যোজাত কন্ত। আনয়ন করেন । পরদিন কংস সেই কন্যা ধ্বংস করিতে উদ্যত হইয়া জানিতে পারেন যে র্তাহার মৃত্যুর কারণ অন্যত্র আছেন। তখন কংস বসুদেবকে সস্ত্রীক কারামুক্ত করেন। ’ কংসের ধনুৰ্যজ্ঞে কৃষ্ণ বলরাম উপস্থিত হইয়া তাহকে নিহত করিলে, বসুদেব পুত্রমুখ অবলেকেন করিয়া সুখী হইলেন। অতঃপর ইনি সুখে জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। রোহিণী গর্ভজাত ইহঁার কন্যা সুভদ্রার সহিত অৰ্জুনের পরিণয় হয়। যদুবংশ ংস হইলে এবং কৃষ্ণ বলরাম দেহত্যাগ করিলে, বসুদেব নিরতিশয় শোকাভিভূত হইলেন। অনন্তর অর্জন দ্বারকায় গমন করিলে, ইনি তাহাকে কৃষ্ণের আদেশ জ্ঞাপন করাইয়া, যোগাবলম্বন পূর্বক দেহত্যাগ করেন। (মহা,হরি) বাণ—দৈত্যরাজ বিশেষ। ইনি দৈত্যেশ্বর বলির জ্যেষ্ঠ পুত্র। বাণ কঠোর তপস্যা দ্বারা মহাদেবকে পরিতুষ্ট করিয়া তাহার পুত্রত্ব লাভ করেন। পুত্রের ন্যায় ইহঁাকে রক্ষা করিতে তিনি প্রতিশ্রত হইলেন। তাহার আদেশে ইনি শোণিতপুরে স্বীয় রাজধানী স্থাপন করেন। . হরবরে ও আশ্রয়ে বাণ অত্যাচারী হইয়া উঠেন। দেবগণ ইহার ভয়ে ব্যতিব্যন্ত হইলেন। পাৰ্ব্বতীয় বরে ইহার তনয়া উষা কৃষ্ণপৌত্র অনিরুদ্ধকে স্বপ্নে দেখিয়া
