বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন । 'T २88 ] রামমোহন শ্রম গুণে অতি অল্প সময়মধ্যে সংস্কৃত পদ প্রাপ্ত হন । এই সময়ে ইনি ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিলেন। ইংরাজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি কৃতবিদ্য হইয়া রামমোহন ষোড়শ লাভ করেন। ইহঁার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃবৎসর বয়সেগৃহে প্রত্যাগমন করেন। দ্বয়ের মৃত্যু হওয়ায় এবং তাহাদের ইহঁার মন অতঃপর পৌত্তলিকতার প্রতি ধাবিত হয়। অনেক বিবেচনা এবং অনুসন্ধানের পর, ইনি পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধ মত অবলম্বন করেন । তৎসম্বন্ধে এক খানি গ্রন্থও রচনা করেন। এই বিষয় উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনের সহিত মনোবিবাদ হওয়ায়, ইনি গৃহ ত্যাগ করেন । ধৰ্ম্মতত্ত্ব জিজ্ঞাস্থ হইয়া, নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া তিব্বতে উপস্থিত হন। তথায় বৌদ্ধদিগের আচার ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ হওয়ায় ইনিতাহাদিগের বিদ্বেষভাজন হন। তজ্জন্ত ইহঁাকে অত্যা চার পর্য্যন্ত সহ্য করিতে হইয়াছিল। এইরূপে চারি বৎসর দেশে দেশে ভ্রমণ করিয়া, রামমোহন পুনরায় গৃহে আগমন করেন । ১৮০৩ খৃষ্টাব্দেপিতার মৃত্যু হইলে, পৈতৃক সম্পত্তি তিন সহোদরে বণ্টন করিয়া, রামমোহন সংসারী হইলেন। বিষয়ের উপসত্ত্ব হইতে সংসারের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ না হওয়ায়, চাকরীর জন্য চেষ্টিত হন । রংপুরে কলেক্টরিতে কাৰ্য্য গ্রহণ করিয়া, বিবিধ গুণের পরিচয় প্রদান পুৰ্ব্বক, ইনি ক্রুমে সেরেস্তাদারের উত্তরাধিকারী না থাকায়, রামমোহন পৈতৃক সমস্ত বিষয়ের অধিকারী হন। গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য এখন আর চাকরীর প্রয়োজন না হওয়ায়, ইনি কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করেন । অতঃপর কিছুদিন মুরসিদাবাদে অবস্থিতি করিয়া, চল্লিশ বৎসর বয়সের সময় কলিকাতায় আগমন করেন। এক্ষণে ইচ্ছানুরূপ অবসর পাইয়া, রামমোহন অনন্তমনে ধৰ্ম্মালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে ইনি কলিকাতায় ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করিয়া, তাহার তিন বৎসর পরে স্বতন্ত্র উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বিবিধ প্রবন্ধ প্রণয়ন পূর্বক বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত করেন । ইনি বাঙ্গালা, সংস্কৃত, হিন্দি, আরবি, পারসি, উর্দু, হিব্রু, ইংরাজি, ফরাসি, লাটন এবং গ্রীক ভাষা জানিতেন। ইনিই সৰ্ব্বপ্রথমে উৎকৃষ্ট বাঙ্গালা গদ্যলেখক। ইহার প্রণীত গদ্য গ্রন্থের অনুকরণে বাঙ্গালা ভাষায় গদ্যপুস্তক বিরচিত ও প্রচারিত হইতে আরম্ভ হয় । নূতন ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের জন্য রামমোহনকে অনেক উপদ্রব সত্যু