বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষণ পঞ্চবটীতে কুটার · নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক সকলে মুখে বাস করিতে লাগিলেন। একদা শূৰ্পণখা রামের প্রেম কাজিহ্মণী হইয়া, সীতাকে গ্রাস করিতে উদ্যত হয়। তখন ভ্রাতার আদেশে, ইনি তাহার নাসিকা ও কৰ্ণ ছেদন করেন । সসৈন্ত খর হত হইলে, রাক্ষসী রাবণকে সমুদয় অবগত করে । মারিচের সহিত রাবণ পঞ্চবটীতে উপস্থিত হয় । স্বর্ণ মৃগরূপ মারিচের পশ্চাৎ রাম গমন করিলে, ইনি সীতার রক্ষক-স্বরূপ কুটীরে অবস্থান করেন । পরে মৃত্যুকালে রাক্ষসের “হা লক্ষ্মণ, হা সীতা” স্বর শ্রবণ করিয়া, সীতা ইহঁাকে রামের উদ্দেশে প্রেরণ করেন। ইত্যবসরে রাবণ সীতাকে হরণ করে । রামের সহিত কুটীরে প্রত্যাগমন পূৰ্ব্বক সীতাকে না দেখিয়া, লক্ষ্মণ নিরতিশয় দুঃখিত হইলেন। র্তাহার অন্বেষণে দুই ভ্ৰতি বনে বনে ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন । পক্ষিবর জটায়ু এবং কবন্ধের নিকট ংবাদ পাইয়া, ইহঁারা ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বতে উপস্থিত হইলেন । তথায় রামের সহিত সুগ্ৰীবের মিত্রত। হইলে, বালী বধ এবং সুগ্ৰীব কিষ্কিন্ধার রাজা হয় । অতঃপর রামের কার্ষ্যে সুগ্ৰীবের অমনোযোগ দর্শনে, ইনি কিষ্কিন্ধায় গমন [ ২৫০ রামের হস্তে j লক্ষণ করিলে, বানরপতি সীতার অন্বেষণে চতুর্দিকে বানর সৈন্ত প্রেরণ করে । লঙ্কায় গমন পূৰ্ব্বক, হনুমান সীতার সংবাদ আনয়ন করিলে, সমুদ্র বন্ধন হয়। বানরসৈন্তসহ ইনি সভ্রাতা লঙ্কায় উপনীত হইলেন । , লক্ষ্মণ সমরে অনেক রাক্ষস সৈন্ত শমন সদনে প্রেরণ করেন । ইন্দ্ৰজিতের যুদ্ধে দুই বার পরাস্ত হইয়া, বিভীষণের পরামর্শে ইনি তাহার যজ্ঞালয়ে গমন করেন । তথায় দারুণ স্মরে, ইনি মেঘনাদকে বধ করেন । তৎপরদিবস রাবণ যুদ্ধে উপস্থিত হইয়া, শক্তিশেলে লক্ষ্মণকে বিদ্ধ করে। হনুমান ওষধি পৰ্ব্বত আনয়ন করিলে, সুষেণ প্রদত্ত ঔষধির গন্ধ আস্ত্রাণ করিয়া ইনি সুস্থ হইলেন । রাবণ বধ হইলে, লক্ষ্মণ রামের সহিত , অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করেন । অতঃপর রামের অনুগত থাকিয়া, ইনি সুখে জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। প্রজার মনোরঞ্জনার্থ রাম সীতাকে বর্জন করিলে, ইনি র্তাহাকে বাল্মীকির তপোবনে রাখিয়া আইসেন। অশ্বমেধ যজ্ঞকালে ইনি অশ্বের সহিত দেশে দেশে ভ্রমণ করেন। সীতা পাতালে প্রবেশ করিলে, ইনি অতীব দুঃখিত হন। রামের আদেশে ইহঁার পুত্র অঙ্গদ ও চন্দ্রকেতু স্বাধীন রাজ্য প্রাপ্ত