হরিদাস নাম জপ করিলেন । তৃতীয় রাত্রিতে তিনি উপস্থিত হইয়া, অপেক্ষাকৃত একাগ্রমনে হরিনাম জপ করিলেন। ইনি সমস্ত রাত্রি নাম জপে যাপন করিয়া, প্রভাতে তাহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। হরিনামরসে তিনি মগ্ন হইয়া, ইহঁার পদতলে পতিত হইলেন এবং পাপকৃত আত্মগ্নানিতে দগ্ধ হইয়া, ইহার নিকট হরিনামে দীক্ষিত হইতে ३छ्क হইলেন। ইনি তাহীকে সমস্ত পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক মুণ্ডিত মস্তকে সেই কুটীরবাসী হইয়া হরিনাম জপিতে আদেশ করিয়া, স্থানান্তরে, গমন করিলেন । অতঃপর হরিদাস নবদ্বীপে গমন পূৰ্ব্বক বৈষ্ণবদিগের সহিত মিলিত হইলেন। ইহঁর ভক্তি ও প্রেমে সাধু বৈষ্ণবগণ মোহিত হইয়া, ইহঁাকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করিতেন। চৈতন্তদেব ইহঁাকে বিলক্ষণ শ্রদ্ধা করিতেন। ইনিও তাহার সহিত অবশিষ্ট জীবন যাপন করিতে অভিলাষী হইলেন । চৈতন্য লীলাচলে গমন করিলে, ইনিও তথায় উপস্থিত হইলেন। সাধু বৈষ্ণবগণে পরিবেষ্টিত হইয়া, ইনি শেষ জীবন সুখে অতিবাহিত করেন। তাহাদের সন্মুখে হরিনাম জপ করিতে করিতে, হরিদাসের দেহত্যাগ হয়। (চৈতন্যচরিত ) হরিশ্চন্দ্র—নরপতি বিশেষ। ইনি ミぶやり T হরুঠাকুর স্বৰ্য্যবংশীয় রাজা ত্রিশঙ্কুর তনয় ছিলেন। অন্যান্য বহুল রাজগুণের মধ্যে দাতৃত্ব ও সত্যপরায়ণতার জন্য ইনি প্রসিদ্ধ ছিলেন । ইহঁার মহিষীর নাম শৈব্যা। তাহার গর্ভে রোহি তাশ্ব নামে ইহঁার পুত্রের জন্ম হয় । কথিত আছে যে, একদা মহর্ষি বশিষ্ঠ হরিশ্চন্দ্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তচ্ছ বণে বিশ্বামিত্র ইহঁাকে পরীক্ষা করিতে মনস্থ করিলেন। তিনি ইহঁার নিকট উপস্থিত হইয়া, দানম্বরূপ ইহঁার সমুদায় রাজ্য গ্রহণ করেন। দক্ষিণার জন্য, সপুত্রা শৈব্যাকে বিক্রয় করিয়া এবং স্বয়ংও বিক্রীত হইয়া, তাহাকে অর্থ প্রদান করেন। ইনি শ্মশানে চণ্ডালের কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন । পুত্র মৃত হইলে, শৈব্যা তহিকে দাহ কবিতে শ্মশানে উপস্থিত হইলেন । ইনি স্ত্রীর সহিত মিলিত হইয়া, একমাত্র পুত্রের জন্য শোক প্রকাশ করিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে বিশ্বামিত্র তথায় উপস্থিত হইয়া, রোহিতাশ্বকে পুর্ণজীবিত করিয়া, ইহঁার রাজ্য প্রত্যাপণ করিলেন। ইনি স্ত্রীপুত্রসহ রাজ্যে প্রত্যাগমন পূর্বক মুখে রাজত্ব • করিতে লাগিলেন। (পুরাণ) इङ्गल्याङ्कङ्ग-बिथाङ औड वारेि । ইহার প্রকৃত নাম হরেকৃষ্ণ দীর্ঘাতী ১৭৩৯ খুষ্টাব্দে ইনি কলিকাতায়
