বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংস [ ৩৩ ] মথুরার সিংহাসন অধিকার করিলেন। অতঃপর যদৃচ্ছাক্রমে রাজ্য শাসন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ইহার উপদ্রবে ও স্বেচ্ছাচারিতায় যাদববৃন্দ জালাতন হইয়া অতি কষ্টে দিনপাত করিতে লাগিলেন । ংসের পিতৃব্য দেবকের কন্য দেবকীর সহিত বসুদেবের পরিণয় হইলে, কংস দৈববাণীতে অবগত হন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সস্তান তাহার বিনাশ সাধন করিবে । তচ্ছ বণে কংস ভগিনী ও ভগিনীপতিকে কারারুদ্ধ করিলেন । র্তাহাদের এক একটা সস্তান জন্ম গ্রহণ করে, আর ইনি তাহ! শমন সদনে প্রেরণ করেন। এইরূপে সাতটা সন্তান ধ্বংস প্রাপ্ত হয় । দেবকীর অষ্টম গর্ভে কৃষ্ণের জন্ম হইল। রসুদেব র্তাহাকে রজনীতে গোপনে গোকুলে নন্দঘোষের গৃহে রাখিয়া তাহার সদ্যোজাত কন্যা ( যোগমায়া ) আনয়ন করেন । প্রাতঃকালে কংস সেই কন্ত বিনাশ করিতে উদ্যত হইলে, তিনি তাহার হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিয়া বলিয়া যান ষে তাহার হস্তা জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন। তদনন্তর কংস বসুদেব ও দেব কীকে কারামুক্ত করেন ; এবং কেশী, ধেনুক, পূতনা প্রভৃতি অমুগক অনুচরদিগকে আজ্ঞা করেন ককুৎস্থ “যে বালকে বলের আধিক্য দেখিবে তাহাকেই বধ করিবে” । উহারা কৃষ্ণ ও বলরামের হস্তে নিপতিত হইলে, কংস জানিতে পান যে র্তাহারাই ভয়ের পাত্র। র্তাহদের ধ্বংশের জন্ত অন্তান্ত অনুচরগণ প্রেরিত হইলে, তাহারাও নাশ প্রাপ্ত হয় । অতঃপর কংস ধনুৰ্যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া কৃষ্ণবলরামকে আনিতে অক্ৰুরকে প্রেরণ করেন। র্তাহদের বিনাশের জন্ত বলিষ্ঠ মল্লগণ ও মদোন্মত্ত মাতঙ্গ নিয়োজিত হয় । কৃষ্ণবলরাম সে সকলকে বিনাশ করিয়া কংসের বধার্থ, প্রস্তুত হন । তখন কংস কৃষ্ণকে নাশ করিবার জন্ত চেষ্টিত হইয়া তাহার হস্তে নিপতিত হইলেন । (হরিবংশ) ককুৎস্থ–ভগীরথের পুত্র। ইনি অতি পরাক্রান্ত রাজা ছিলেন এবং ত্রেতাযুগে অযোধ্যায় রাজত্ব করিতেন । ইহঁার নাম পুরঞ্জয়,পরে নিম্নলিখিত ঘটনা হইতে ককুৎস্থ হইয়াছিল। ইহঁার জীবিত কালে দেবাস্বরে ঘোরতর যুদ্ধ হয়। দেবগণ পরাস্ত হইয়া বিষ্ণুর শরণাগত হন। র্তাহার আদেশে দেবগণ পুরঞ্জয়ের সাহায্যে অস্থরগণকে বিধৃংস করেন। সেই যুদ্ধে ইন্দ্র স্বয়ং এক মহাৰুষ রূপ ধারণ করিয়া রাজাকে ককুদেৱ