বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্বজন সমক্ষে যাজ্ঞবন্ধ্যের সহিত শাস্ত্রালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ইহঁার কৃত ঋগ্বেদের টীকা আছে । গাগ্য—মুনিবিশেষ। জ্যোতিষশাস্ত্রে ইহার বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল। ইনি গাগ্যসংহিতা নামক একখানি জ্যোতিষের পুস্তক প্রণয়ন করেন। ইনি যাদবদিগের কুলগুরু ছিলেন এবং সেই বংশে বিবাহ করেন। শুালক কর্তৃক নপুংসক বলিয়া অভিহিত হইলে, ইনি ক্রোধপরবশ হইয়া যাদবদিগকে ত্যাগ করিয়া কঠোর তপস্তা করেন। মহাদেব ইহঁার তপস্তায় তুষ্ট হইয়া ইহার নিকট উপস্থিত হইলেন। তখন ইনি যাদবদিগের অজেয় একটা পুত্ৰ কামনা করিয়া বর লইলেন। অতঃপর অপসরা গোপালীর গর্ভে ইহঁার কালযবন নামে পুত্র জন্ম গ্রহণ করে। ( হরি ) গুরু গোবিন্দ–শিখদিগের দশম গুরু। ১৬৭৫ খৃষ্টাব্দে ইনি গুরু পদে আরূঢ় হন। শিখবিদ্বেষীরা ইহার পিত। নবম গুরুকে বধ করে । সমু দায় শিখদিগকে একতাসুত্রে বদ্ধ করিতে এবং তাহাদিগকে বিপক্ষ হুইতে রক্ষা করিবার জন্ত, ইনি এই উদ্দেশে বিশেষ চেষ্টত হন । ইনি সমুদায় শিখদিগকে একত্র [ سوارا ] গুরুগোবিন্দ করেন। জাতি বিচার ত্যাগ করিয়া সকল শিখ একজাতীয় হইতে বলায়, অনেকে ইহার শিষ্যত্ব ত্যাগ করে । কিন্তু প্রায় বিশ হাজারের উপর এই প্রস্তাবে সন্মত হইল। এই সকল লোক প্রতিজ্ঞা পূৰ্ব্বক শপথ করিল ষে তাহারা জাতিবিচার করিবে না > স্বধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে প্রাণপণে রক্ষা করিবে ; এবং কোনরূপ অস্ত্র সৰ্ব্বদা সঙ্গে রাখিবে। কোন প্রকার জাতিবিচার তাহদের না থাকে, এইজন্ত সকলেরই পদবী সিংহ করা হইল । অন্যান্ত বিষয়ে গোবিন্দ নানকের মতের অনুসরণ করেন । গোবিন্দ যে রাজার রাজ্যে বাস করিতেন, তাহার সহিত বিবাদ উপস্থিত হইলে, রাজা শিখদিগের বিরুদ্ধে সৈন্ত প্রেরণ করেন। গোবিন্দ রাজসৈন্য সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করায়, তিনি দিল্লীর সম্রাটের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন। সম্রাটের আজ্ঞায় সারহিণ্ডের গবর্ণর রাজার সাহায্য করেন। প্রথমে গোবিন্দ পরাস্ত হন, এবং পুত্র প্রভৃতি পরিবারবর্গ শক্র কর্তৃক হত হয়। কিন্তু পরে তাহাদিগকে পরাজিত করেন । এই সংবাদে আরাঙ্গজিব ইহঁাকে উপস্থিত । হইবার আদেশ কূরেন। গোবিদ । নিজ দোষ ক্ষালন পূর্বক পারস্ত ।