পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যদেব। 切ra)

SeALMe eLTe S eLL eee LLLeLESSSSLLLLLS LkeLeLeLTSeeLSMSeeMS eSeLESEALAeLT ALLLLL LL eeSLLeL eM eSeSMAeALLSSeSLLSeeeeSLLLS কেলীতে থাকিবার সময়, রূপ ও সনাতন নামক দুই ভ্ৰাতা চৈতন্যদেবের মোহিনীশক্তিতে মুগ্ধ হইয়া রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় গললক্ষ্মীকৃতবাসে, চৈতন্যের নিকট আসিয়া উপস্থিত হন। চৈতন্যদেব উহাদিগের প্রগাঢ় ভক্তি দেখিয়া, উহাদিগকে আলিঙ্গন করিয়া শিষ্যরূপে গ্ৰহণ করেন। ঐ স্থান হইতে চৈতন্যদেব শান্তিপুরে গমন করেন। তথায় কিছুদিন থাকিয়া মাতার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া পুনরায় শ্ৰীক্ষেত্রে ফিরিয়া আইসেন। শ্ৰীক্ষেত্রে বর্ষ। চারিমাস অতিবাহিত করিয়া একমাত্র শিষ্যসমভিব্যাহারে বৃন্দাবন যাত্রা করেন। তিনি তথায় কয়েক দিবস থাকিয়া পথ হাটিয়া কাশীধামে আইসেন। কাশীধামে মায়াবাদী সন্ন্যাসী ও দণ্ডিগণের বিষম প্ৰাদুৰ্ভাব। চৈতন্যদেব কাশীতে উপস্থিত হইলে, তথাকার দণ্ডী, সন্ন্যাসী ও পণ্ডিতবর্গ তাহার সহিত বিবিধ বিষয়ের বিচার করেন। উহাদিগের মধ্যে প্ৰকাশানন্দ স্বামী চৈতন্যদেবকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “হে সন্ন্যাসি! তুমি সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া উন্মাদের ন্যায় কালব্যাপন করিতেছ। কেন ?” ইহার উত্তরে চৈতন্যদেব বলেন, “আমার গুরু আমাকে মূৰ্খ জানিয়া এই উপদেশ দিয়াছেন যে, তোমার বেদান্তে অধিকার নাই, কলিতে নাম জপাই সার। তুমি কেবল কৃষ্ণ নাম জপ কর। কৃষ্ণ নাম জপ ও কৃষ্ণভক্তি করাই শ্রেষ্ঠ সাধন।” এই বলিয়া তিনি বৃহন্নারদীয় পুরাণের “হিরোনাম হরেনাম হরেনামৈব কেবলং। কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ৷” “এই বচন আমাকে উপদেশ দেন। আমি সেই গুরুদেবের আদেশপালনে পাগল হইয়াছি।” এই কথা বলিয়া চৈতন্যদেব। হরিনামের মহিমাসুচক বিচার করেন। তঁহার সহিত বিচারে পরাভূত হইয়া, প্ৰকাশানন্দ স্বামী প্ৰভৃতি মায়াবাদিগণ হরিধ্বনি করিয়া, গৌরাঙ্গের সহিত প্ৰেমরসে