পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> O R জীবনী-সংগ্ৰহ কৃত দুগ্ধের আস্বাদন পাইলেই স্বামীজী ক্ৰোধোন্মত্ত হইবেন, সেইজন্য উহারা উহার নিকট হইতে কিছুদূরে আসিয়া দাড়াইয়াছিল। যখন দুষ্টেরা দেখিল, স্বামীজী কোনরূপ মুখবিকৃতি না করিয়া সমস্ত গোলা-চুণ পান করিয়া ফেলিলেন, তখন দুষ্টের স্বামীজীর চরণ প্ৰান্তে পতিত হইয়া সকল অপরাধ ক্ষমা করিতে বলে । স্বামীজী উহাদের কোন কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া, তাহদের সম্মুখেই সেই পরিমাণে চুণ-গোলা প্রস্রাবের সহিত বাহির করিয়া দেন। স্বামীজীর এই অসাধারণ ক্ষমতা দেখিয়া দুষ্টেরা একেবারে স্পন্দহীন জড়পদার্থের ন্যায় বসিয়া রহিল । বৃটিশ-রাজ্যের মধ্যে সৰ্ব্বসাধারণ সমক্ষে উলঙ্গাবস্থায় বসবাস করা আইনবিরুদ্ধ, সুতরাং কেহই উলঙ্গাবস্থায় থাকে না। কিন্তু স্বামীজী উলঙ্গ হইয়া কাশীর পথে, ঘাটে, মাঠে সৰ্ব্বত্র বিচরণ করিতেন। পুলিসপ্রহরীরা কয়েকবার তঁহাকে সতর্ক করিয়া দেয়, কিন্তু ইনি তাহাদের কথায় কৰ্ণপাত করেন নাই। একদিবস স্বামীজী উলঙ্গাবস্থায় ভাগীরথীতীরে বসিয়া আছেন, এরূপ সময়ে একজন পুলিস-প্রহরী ইহার নিকট আগমন করিয়া ইহাকে থানায় যাইতে বলে । স্বামীজী ঐ সময়ে বাহাজ্ঞানশূন্য হইয়া বসিয়াছিলেন, সুতরাং প্রহরীর কথায় কোন উত্তর দিলেন না। কোন উত্তর না পাওয়ায় সে আপনাকে কিছু অপমানিত বোধ করে এবং আপনার কটিদেশ হইতে রুল খুলিয়া লইয়া তাহার দ্বারা প্ৰহার করে। স্বামীজীর কয়েকজন শিষ্য তথায় উপস্থিত ছিল । তাহারা ঐ কাৰ্য্যে বাধা প্ৰদান করায় প্রহরী রাগে অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া থানায় সংবাদ প্ৰদান করে । এই সংবাদে কয়েকজন কনেষ্টবল আসিয়া বাহা জ্ঞানশূন্য স্বামীজীকে ঝোলায় করিয়া থানায় লইয়া যায়। পরদিবস ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকট ইহার বিচার হয়। স্বামীজীর শিষ্যগণ স্বামীজীকে উদ্ধার করিবার জন্য উকীল নিযুক্ত করিয়াছিল। ঐ উকীল বিচারপতিকে বুঝাইয়া দেন যে, “ইনি