পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R জীবনী-সংগ্ৰহ পুরাকালে অযোধ্যা-নগরে সুজাত নামে ইক্ষ্মণকুবংশীয় একজন প্রতাপশালী রাজা ছিলেন। তঁহার পাঁচ পুত্র ও পাচ কন্যা ছিল। পুত্ৰগণের གམ། དེ་༦༣༣, নিপুর, করকুণ্ডক, উল্কামুখ ও হস্তিশীির্ষক। কন্যাগণের নাম-শুদ্ধা, বিমলা, বিজিতা, জলা ও জলী । এই সকল পুত্র ও কন্যা ব্যতীত “জেন্ত” নামে তাহার আর এক পুত্র ছিল। সেটা তাহার প্রধান মহিষীর সখী-পুত্র। সখির নাম ছিল জেন্তি, সেইজন্য সকলে তাহার পুত্রকে জেন্ত বলিয়া ডাকিত। রাজা সুজাত এক সময়ে ঐ সখীকে স্ত্রীভাবে আরাধনা করিয়াছিলেন ; জেন্তিও তাঁহার বাসনা পূর্ণ করিয়াছিল। ইহার জন্য রাজা পরিতুষ্ট হইয়া জেন্তিকে বলিয়াছিলেন, “তোমার সৌজন্য দেখিয়া আমি তোমায় বর প্রদান করিতে ইচ্ছা করি ; অতএব তুমি তোমার অভিলষিত বর-প্রার্থনা করা।” রাজার ঈদৃশ বাক্য শ্রবণ করিয়া জেন্তি মনে মনে বিবেচনা করিল যে, রাজার অবর্তমানে তঁহার অন্যান্য পুত্রেরা পিতৃরাজ্যের ও পৈতৃক ধনের অধিকারী হইবে, আমার পুত্রের তাহাতে কোন অধিকার থাকিবে না ; অতএব যাহাতে আমার পুত্র ঐ সিংহাসন প্ৰাপ্ত হয়, তাহাই করিতে হইবে। এইরূপ চিন্তা করিয়া জেন্তি বলিল, “মহারাজ ! আপনি যদি বর দিতে আমাকে একান্ত অভিলাষী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে আপনি আপনার পাঁচ পুত্রকে বনবাসী করিয়া আমার পুত্রকে রাজ্য প্ৰদান করুন।” মহারাজ সুজাত, জেন্তির মুখে এইরূপ বরপ্রার্থনা শুনিয়া অত্যন্ত ব্যথিত হইলেন। কিন্তু প্ৰতিজ্ঞােভঙ্গের ভয়ে কোন ক্রমেই স্বীকৃত বরপ্রদানে বিমুখ হইতে পারিলেন না। রাজা “তাহাই হউক” বলিয়া জেন্তির অভিলষিত বরপ্ৰদান করেন। রাজার বরদানের কথা, ক্ৰমে নগরবাসীমাত্রেই শুনিল। রাজকুমারেরা পিতৃসত্য পালনের জন্য পিতৃরাজ্য পরিত্যাগ করিয়া বনে গমন