পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাস্করানন্দ সরস্বতী । 9 SGQ একটা ঘটনায় যাহা প্ৰকাশ পাইত, তাহাতেই তাহার ক্ষমতার বিষয় বুঝিতে পারা যাইত। আমরা এই স্থানে তঁহার কয়েকটা ঘটনার বিষয় উল্লেখ করিলাম । বড়হর নগরের বেদশারণ কুমারীর কোন অভীষ্টসিদ্ধ সম্বন্ধে স্বামীজী ভবিষ্যৎ ফল বলিয়া দিয়াছিলেন। তঁহার সেইমত কাৰ্য্যসিদ্ধি হওয়ায় তিনি লক্ষাধিক টাকা লইয়া স্বামীজীকে উপহার দিবার জন্য গমন করিয়াছিলেন । স্বামীজী ঐ অর্থ গ্ৰহণ না করায় তিনি তাহার দ্বারা আনন্দীবাগ উদ্যানের সন্নিকটে এক সুবৃহৎ শিবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন ; তাহার এক প্রকোষ্ঠে স্বামীজীর প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি স্থাপিত ऊाgछ । শীতল প্ৰসাদ নামক এক ব্যক্তি কাশীধামে বাস করিতেন, তিনি স্বামীজীর শিষ্য ছিলেন। এক দিবস তাহার এক পুত্র দ্বিতল বাটীর ছাদ হইতে পড়িয়া গিয়া মৃতপ্রায় হইয়া গিয়াছিল। শীতল প্ৰসাদ স্বামীজীর ক্ষমতার বিষয় জানিতেন, সুতরাং তিনি ডাক্তারদিগের নিকট গমন না করিয়া গুরুজার নিকটে আগমন করেন । স্বামীজী শিষ্যকে অত্যন্ত কাতর দেখিয়া যাহা ঘাঁটিয়াছে তাহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন । তিনি শিষ্যকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “প্ৰসাদ ! এই গঙ্গাজলটুকু তোমার ছেলেকে খাওয়াইয়া দিও, তোমার ছেলে আরোগ্য হইবে, তুমি কোন চিন্তা করি ও না।” শীতল প্ৰসাদ ঐ জল তাহার পুত্রকে খাওয়াইবার পর হইতেই পুত্ৰ ক্ৰমে সুস্থ হইতে থাকে, এবং অতি অল্প দিবসের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে । এই কলিকাত সহর হইতে কোন এক ব্যক্তি স্বামীজীর নিকট দীক্ষা গ্রহণ এবং যোগশিক্ষা করিবার জন্য গমন করিয়াছিলেন । তিনি স্বামীজীর নিকট আপনার মনোভাব ব্যক্তি করিলে স্বামীজী তঁহাকে