পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাস্করানন্দ সরস্বতী । SS ዓ eLA ATLATeeLSLLLLSLLS See LLLe eAAeSLSe eLe Me LE LkeSAA AA eAeLeeL SeL LALSeLA ATTL TLeLSMSeAESLLLL LL eeeS eeAA LLALLLL L LLLLL LLLLLLLeLL LLLLLS পুনরায় ঐ রূপ অবস্থাতেই বিপরীত ক্ৰমে অর্থাৎ বাম নাসিকা টিপিয়া পূরক, উভয় নাসিকা টিপিয়া কুম্ভক এবং বাম নাসিক ছাড়িয়া দিয়া রেচক করিবে। এইরূপে প্ৰাণায়াম অভ্যাস করিলে দেহ পবিত্র, জ্যোতিৰ্ম্ময় এবং বায়ুপূর্ণ থাকে। অন্ততঃ দুইশত গণনাকাল পৰ্য্যন্ত কুম্ভক অভ্যাস করিবে। ধ্যান দুই প্রকার-স্কুল ও সূক্ষ্মী। মন্ত্র দ্বারা রূপাদি। বর্ণনা করিয়া যে ধ্যান করা যায়, তাহাকে স্কুল-ধ্যান বলে। আর মন্ত্র-শূন্য ধ্যানকে অর্থাৎ মানসপটে ব্ৰহ্মরূপ অঙ্কিত করিয়া তদগত থাকাকে সূক্ষ্ম-ধ্যান বলে । সূক্ষ্মধ্যানে মগ্ন হইয়া যোগবলে শ্বাস-প্রশ্বাসাদি পরিত্যাগ করিয়া পরমব্রহ্মে চিত্ত স্থির করাকে সমাধি বলে। সমাধি সময়ে চিত্ত পৃথিবীর সহিত সংসৃষ্ট থাকে না, সুতরাং তখন আর পার্থিব জ্ঞান কিছুমাত্র থাকে না । স্বামীজী ১৯৫৬ সম্বতের ( ইং ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে ) ২৫শে আষাঢ় রবিবার রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় সমাধি অবস্থাতে দেহত্যাগ করেন। কেহ কেহ বলেন, বিসূচিকা রোগেই ইহার জীবনান্ত হয়। মৃত্যুর রাত্রে সমাধিতে বসিবার পূৰ্ব্বে স্বামীজী তাহার আশ্রমস্থ শিষ্যদিগকে ডাকিয়া বলিয়াছিলেন, “বৎসগণ! এই আমার শেষ সমাধি। আমার সময় নিকট হইয়া আসিয়াছে—অদ্য রাত্রেই এই নশ্বর দেহ হইতে প্ৰাণ বহির্গত হইবে।” স্বামীজীর জীবনান্ত হইলে, শিষ্যগণ তাহার দেহ ভাগীরথীর জলে স্নান করাইয়া ভাগীরথীর তীরে দাহ করেন। দাহান্তে অবশিষ্টাংশ অস্থি ও কিছু ভস্ম একটি প্রস্তরপাত্রে সংস্থাপন করিয়া আনন্দবাগে সমাধি দেন। অনেকে বলিয়া থাকেন, ইহার দেহ দাহ করা হয় নাই ; কেবল স্নান করাইয়া, প্রস্তর আধারে সংস্থাপন করিয়া আধারসহ সমাধি দেওয়া হইয়াছে। এরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, কাণপুরনিবাসী গয়া প্ৰসাদ নামক একজন ভক্ত স্বামীজীর সমাধিমন্দির নিৰ্ম্মাণাৰ্থ একলক্ষ টাকা দান করিয়াছেন।