পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ \Ο ο জীবনী-সংগ্ৰহ পাঠ সমাপ্ত করেন। কিন্তু একটা ঘটনায় ইহার জ্ঞান-পিপাসা আরও প্ৰবল হইয়া উঠে । মূলশঙ্করের পিতা, পুত্রকে শিবমন্ত্রে দীক্ষিত করিবার জন্য সময় প্ৰতীক্ষা করিতেছিলেন। ঐ বৎসর শিবরাত্ৰি সমাগত হইলে, পিতা পুত্রের প্রতি এই আদেশ করেন যে, “মূলশঙ্কর । আজ তোমায় শিবমন্ত্রে দীক্ষিত করিব। তুমি শিবমন্দিরে যাইয়া সমস্ত রজনী জাগ্ৰত থাকিবো।” পিতার আজ্ঞায় মূলশঙ্কর সমস্ত দিবস উপবাসী থাকিয়া রজনীতে পিতার সহিত শিবমন্দিরে গমন করেন। রজনী দ্বিতীয় প্রহরে পুরোহিত মহাশয় পূজা করিয়া বহির্দেশে গমন করিলে, মূলশঙ্কর দেখেন যে, কতকগুলি মুষিক আসিয়া কৈলাশপতি মহাদেবের নৈবেদ্য ভক্ষণ করিতেছে ও তঁহার উপরে অবলীলাক্রমে বিচরণ করিতেছে। মুষিকদিগের এইরূপ আচরণ দেখিয়া মূলশঙ্কর পিতাকে জিজ্ঞাসা করেন, “পিতঃ ! ইনিই কি সেই দেবাদিদেব মহাদেব ?” পুত্রের এরূপ বিস্ময়সুচক প্রশ্ন শুনিয়া পিতা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এরূপ প্রশ্ন কেন করিতেছ?” মূলশঙ্কর বলিলেন, “এই মূৰ্ত্তি যদি সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর হন, তবে মুষিকসকল উহার গাত্ৰোপরি বিচরণ করিতেছে কিরূপে ?” প্রশ্ন শুনিয়া পিতা পুত্রকে আপনার সাধ্যমত বুঝাইয়া দিলেন ; কিন্তু মূলশঙ্কর তাহাতে তৃপ্তিলাভ করিতে পারিলেন না । মনোমত উত্তর প্রাপ্ত না হওয়ায় মূলশঙ্কর ব্ৰতভঙ্গ করিয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরে ইহার একটা ভগিনী পীড়িত হইয়া কালের কারাল গ্রাসে পতিত হন। মূলশঙ্কর ভগিনীবিয়োগজনিত শোকপ্ৰাপ্ত হইয়া যখন বুঝিলেন, ইহ-সংসারে সকল জীবকেই মৃত্যুমুখে পতিত হইতে হইবে, তখন, এখন হইতেই মৃত্যু-যন্ত্রণা হইতে নিস্কৃতি পাইবার উপায় অবলম্বন করা উচিত। এইরূপ চিন্তার দ্বারা মূলশঙ্করের