পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R জীবনী-সংগ্ৰহ। সমাধিও ঐ স্থানে হইয়াছিল। জ্ঞানদেবের সাধনাস্থান তুকারামের পক্ষে অতি মনোহর বোধ হইয়াছিল। যে সময়ে তিনি তথায় বিচরণ করিতেছিলেন, সেই সময়ে কোন কৃষক একজন ক্ষেত্র-রক্ষকের অনুসন্ধান করিতে ছিল। চাষা তুকারামকে দেখিয়া তাহার কাছে ঐ কথা উত্থাপন করে। তুকারাম বুঝিয়া দেখিলেন যে, বিনা মূলধনে যাহা পাইব, তাহাই লাভ ; এই ভাবিয়া তিনি চাষার কথায় সম্মত হইলেন। চাষা তুকারামের পারিশ্রমিক স্বরূপ অৰ্দ্ধমণ শস্য দিতে প্রতিশ্রুত হইল। তুকারাম ক্ষেত্ররক্ষকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া মাঠের মধ্যে অবস্থান করিতে লাগিলেন। তিনি নির্জন স্থান পাইয়া সৰ্ব্বদাই মনের আনন্দে বিঠোবার নামগানে সময় অতিবাহিত করিতেন। এদিকে ক্ষেত্রমধ্যে নানাবিধ পাখীর ব্যাক এবং গরু বাছুরের দল আসিয়া নির্বিঘ্নে শস্যসকল আহার করিয়া যাইত। এক দিবস ক্ষেত্ৰস্বামী এই ব্যাপার দর্শন করিয়া তুকারামকে যথোচিত তিরস্কার করে। ক্ষেত্রস্বামীর তিরস্কার শুনিয়া তুকারাম বলিয়াছিলেন, “ঐ সকল ক্ষুধাতুর জীবদিগকে নিষ্ঠুরের মত কেমন করিয়া তাড়াইয়া দিব ?” ক্ষেত্ৰস্বামী তুকারামের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া ক্ষতিপূরণ করিবার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়তের নিকট সমস্ত বিষয় জ্ঞাপন করে। পঞ্চায়াৎ এই-- রূপে বিচার নিস্পত্তি করেন যে, ক্ষেত্রে এ যাবৎকাল যে পরিমাণে শস্য উৎপন্ন হইয়াছে, সেই পরিমাণ শস্য হইতে যাহা কম হইবে, তুকারামকে সেই পরিমাণ শস্যের মূল্য দিতে হইবে। পঞ্চায়তের বিচারের পর ক্ষেত্র হইতে সমস্ত শস্য সংগৃহিত হইলে ক্ষেত্ৰস্বামী দেখিল যে, পূর্ববৎসরাপেক্ষ এ বৎসর অধিক শস্য জন্মিয়াছে, কিন্তু চাষ এ বিষয় আর কাহারও কাছে প্ৰকাশ করিল না। তুকারামের কোন প্রতিবেশী ইহা জানিতে পারিয়া পঞ্চায়তের গোচর করে। পঞ্চায়ৎ পুনরায় বিচার করিয়া ক্ষেত্ৰস্বামীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য দিয়া অবশিষ্ট তুকারামকে প্ৰদান করেন। তুকারাম