পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YV» o জীবনী-সংগ্ৰহ। বাটীতে প্ৰত্যাগমন করিয়া স্বীয় প্রিয়তমা ভাৰ্য্যার মুখচন্দ্র নিরীক্ষণ করিতে না পাইয়া, জননীকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। হুলসী দেবী । তুলসীদাসকে এই কথা বলিয়াছিলেন যে, “বৎস! আমি পুনঃ পুনঃ লোক । ফিরাইয়া দেওয়া অতি গৰ্হিত কাৰ্য্য বিবেচনা করি, সেইজন্য তোমার । অসন্মতিসত্ত্বেও ঘধৃমাতাকে তাহার পিত্ৰালয়ে পাঠাইয়া দিয়াছি।” তুলসী- } দাস মাতার এবম্বিধ বাক্যশ্রবণে কালবিলম্ব না করিয়া একেবারে শ্বশুরালয়ে উপস্থিত হন। তাহার পত্নী স্বামীকে সমাগত দেখিয়া কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধচিত্তে マfst商び司aー “লাজ না লাগত। আপুকো, ধেীরে আয়োহু সাথী। ধিক ধিক্ আয় সে প্রেমকো, কহা কহেঁ মৈনাথ ৷ অস্থিচৰ্ম্মময় দেহ মম, তামো জৈসী গ্ৰীতি । তৈসী জৌ শ্ৰীরাম মহ, হোত ন তত্ত ভবভীতি ॥” “স্বামিনী! এই অস্থিচৰ্ম্মমাংস শোণিত-নিৰ্ম্মিত আমার অনিত্য শরীরে যে পরিমাণে তোমার স্নেহ ও প্ৰেম বিরাজিত আছে, যদি সেই পরিমাণে ঐ স্নেহ ও প্ৰেম ভূতভাবন ত্ৰিলোকপ্ৰকাশক রামচন্দ্রের প্রতি বিরাজিত থাকিত, তাহা হইলে তুমি ইহলোকে ও পরলোকে বিমল আনন্দানুভব করিতে সমর্থ হইতে ।” প্ৰিয়তমার এবম্বিধ জ্ঞানোদ্দীপক বাক্য শ্রবণ করিয়া, তুলসীদাসের জ্ঞাননেত্ৰ উল্মীলিত হওয়ায়, তিনি আপন শ্বশুরালয় পরিত্যাগ করিয়া কাশীধামে আগমন করেন। তথায় তিনি সন্ধ্যাবন্দনাদি নৈতিক ক্রিয়া সমাপনে ও শ্ৰী রামচন্দ্রের চরণকমলধ্যানে কালতিপাত করিতে থাকেন। তিনি কাশীধামের অনতিদূরে প্রত্যহ প্ৰাতঃকালে মলত্যাগ করিয়া শোচের অবশিষ্ট জল একটী ঝোপে ফেলিয়া দিতেন। ঐ ঝোপে এক পিশাচ বাস করিত ; সে প্রত্যহ ঐ জল পান করিয়া পরিতৃপ্ত হইত। একদা ঐ